• সিলেট

    গোয়াইনঘাট সীমান্তে নির্বিঘে হেলাল সিন্ডিকেটে চলছে পাচার বানিজ্য!

      প্রতিনিধি ৮ মে ২০২৩ , ২:০৬:৪২ অনলাইন সংস্করণ

    গোয়াইনঘাট থেকে ঘুরে এসে, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার পাচার বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর অসৎ সদস্যদের প্রত্যক্ষ মদদেই চলছে এসব ব্যবসা। সরজমিন ঘুরে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তের জাফলং ও বিছনাকান্দি এলাকার কয়েকটি স্পট দিয়ে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করছে খাসিয়া পান, চিনি,চা পাতা কসমেডিক, শাড়ীকাপড়, গরু-মহিষ, মাদক, অস্ত্রসহ নানান ভারতীয় পণ্য। চোরাকারবারীদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন, স্থানীয় সরকার দলীয় কিছু নেতা, এ দিকে ভারত থেকে গরু ও মহিষ পাচারে কামাল মেম্বার, হেলাল মেম্বার এর সমন্বয়েই পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতিটি গরু বা মহিষের জন্য ডিবি ও পুলিশের নামে দুই হাজার টাকা করে আদায় করছে এই সিন্ডিকেট চক্রটি। পান্তুমাই, বাবুর কোনা, হাজিপুর, লামাপুঞ্জি,, নকশিয়াপুঞ্জি মন্দির ঘাট, পুরাতন সংগ্রামপুঞ্জি, দিয়ে প্রতি রাতেই দেশে প্রবেশ করছে শত শত গরু মহিষ। তবে গরু মহিষ আনার সাথে সাথেই স্থানীয় গরুর হাটের ইজারাদারকে প্রতিটির ২শ টাকা পরিশোধ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন ভুয়া ক্রয়-বিক্রয় রশিদ। এ ছাড়াও রাধানগর বাজারে শত শত কাচা খাসিয়া পান আসছে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই। প্রতিটি ট্রাক থেকে ডিবি ও পুলিশের নামে আদায় করছে ৫ হাজার টাকা করে। রাধানগর বাজারে পান ও গরু মহিষ জড়ো করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। গোয়াইনঘাট থানার উপর দিয়ে সারিঘাট সড়ক দিয়ে প্রতি রাতেই শত শত ট্রাক ভর্তি গরু-মহিষ নিয়ে যাচ্ছে দুরদুরান্তের গরু মহিষ ব্যবসায়ীরা। চোরাকারবারী ব্যবসার মুল হোতা চক্রের সদস্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানান, এলাকায় কোন কোয়ারী না থাকায় শত শত মানুষ পান চিনি চা পাতা কসমেটিকএনে বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারাই সব নিয়ন্ত্রন করছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেই সব পেয়ে যাবেন। গরু মহিষের লাইন নিয়ন্ত্রনকারী হেলাল মেম্বার জানান, এ বিষয়টি কামাল ভাই জানে। আমি এত কিছু জানি না। কামাল ভাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইব্রাহিম এর বক্তব্য জানতে বার বার কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল ইসলাম জানান, নিজউ করারমত হলে অবশ্যই করবেন। তবে পাচার বানিজ্যের সাথে পুলিশের কেউ জড়িত নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content