প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:১৬:৩৫ অনলাইন সংস্করণ
আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের হাছননগর আবাসিক এলাকার বুবির পয়েন্টে ডাচবাংলা ব্যাংকের বুথের পিছনে অব¯ি’ত জেলা জাসদের সভাপতি এনামুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় দূধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। ৯ এপ্রিল রবিবার দিবাগত রাতে এই বাসাটি চুরি হয়। ডাচবাংলা ব্যাংকে এটিএম বুথের কর্মরত নৈশপ্রহরী তাদের প্রয়োজনে বাসার ভিতরে পানির মোটর থেকে পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখতে পান বাহির হতে ভিতরের দরজা বন্ধ। তখনই এনামুজ্জামান চৌধুরীর ছোট ভাই আখলঅকুজ্জামান বাবলুর স্ত্রীকে তিনি ফোন করেন। ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার কারণে সিলেটে অব¯’ান করছেন বাবলুর স্ত্রী। অন্যদিকে এনামুজ্জামান চৌধুরী চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অব¯’ান করলে বাসা খালি পেয়ে চোরদল বাসার পিছনের বারিন্দার টিন সরিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে বাসার জরুরি কাগজপত্র,দলিল দস্তাবেজ,নগদ টাকা পয়সা,হাড়ি পাতিল,৩টি দামী বেøন্ডার, নতুন কাপড় চোপড় ইত্যাদি চুরি করে নেয়।
সংবাদ পেয়ে সদর মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান ও রিয়াজ উদ্দিন মঙ্গলবার বিকেলে দুদফায় বাসায় গিয়ে চুরির ঘটনা সরজমিনে তদন্ত করেন এবং আলামত জব্দ করেন। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট শাহ আলম মহীউদ্দিন,প্রাক্তন ইউপি সদস্য নুরুল্লা গ্রাম নিবাসী আবুল কাশেম ও জাসদ নেতার খালাতো ভাই বিশিষ্ট গীতিকার ছাদেক এ পাঠানসহ অনেকেই উপ¯ি’ত ছিলেন। পরিবারের লোকজন বলেন,জাসদ নেতার একটি দোকানকোটা ভাড়া নিয়ে ৫/৬ বছর ভাড়াটে থেকে প্রতিবেশী এক ভাড়াটে বিশ্বাসভঙ্গ করে তার দোকানঘরটি দখলে থেকে ঐ দোকানঘরটি সরকারের কাছ থেকে ভিপি মোকদ্দমামূলে ভাড়া নিয়ে দখলে আছে। এ ঘটনায় দখলদার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মৃত্যুর আগে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন জাসদ নেতার ভাই আখলাকুজ্জামান বাবলু। কিš‘ সরকারের কাছে একাধিক আবেদন করেও দোকানঘরটি উদ্ধার করতে পারেননি তারা। সম্প্রতি দখলদার ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে,৭১ এর চিহ্নিত রাজাকার হিসেবে কিছু কাগজপত্র ও প্রমাণ সংগ্রহ করেন জাসদ নেতা এনামুজ্জামান চৌধুরী। এমনকি জাসদ নেতার আত্মীয় স্বজনরা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দখলদার রাজাকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য প্র¯‘তি নেন। ধারনা করা যা”েছ প্রতিপক্ষীয় রাজাকার ও তার সহযোগীরা গোপনীয় কাগজপত্র ও দলিল দস্তাবেজ সংগ্রহ করার লক্ষ্যে জাসদ নেতার বাসাটি চুরি করতে পারে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যব¯’া গ্রহন করবেন বলে জাসদ নেতাকে আশ্ব¯’ করেছেন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধূরী। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকে দৃষ্টি এখন সকলের।