প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ২:১৯:১৭ অনলাইন সংস্করণ
স্বামীর সাক্ষাৎ পেতে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (২৯)। মোহাম্মদপুর থানার বছিলা এলাকার এ ঘটনায় পাঁচ ধর্ষণকারীর প্রত্যেককেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপি তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
তিনি জানান, গত শনিবার রাজধানীর গাবতলী, ডেমরা, বছিলা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলো, বিল্লাল হোসেন, আল-আমিন হোসেন, সবুজ, রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল ও শফিকুল ইসলাম।
ডিসি জানান, ভুক্তভোগী নারী স্বামী-সন্তানসহ মোহাম্মদপুরের বছিলায় বসবাস করতেন। চার মাস আগে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সন্তানদের স্বামীর কাছে রেখে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এর মধ্যে কিছু না জানিয়েই স্বামী তাকে তালাক দেন। কারণ জানতে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তার আগের বাসায় এসে তার স্বামী-সন্তানকে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। এভাবে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত বছিলা চল্লিশফিট, ফিউচার হাউজিং, গার্ডেনসিটি হাউজিং, স্বপ্নধারা হাউজিং ও এর আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করে সন্তানদের সন্ধান না পেয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বছিলা চল্লিশফিট তিন রাস্তার মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য একটি রিকশা ভাড়া নেন। কিন্তু রিকশাচালক ওই নারীকে তার স্বামীর বাসা খুঁজে বের করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ও তার অসহায়ত্বকে পুঁজি করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন।
প্রায় তিন ঘণ্টা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে বছিলা ফিউচার টাউনের একটি জায়গায় গিয়ে রিকশাচালক তার সঙ্গীরাসহ ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শ্রমিকদের জন্য তৈরি একটি অস্থায়ী টিনের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে পাঁচজন ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এক পর্যায়ে নারীর চিৎকারে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। ক্লুলেস এ ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের অসংখ্য সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে ভিকটিম নারীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।