প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১:০৩:০৫ অনলাইন সংস্করণ
কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সুনামগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে এবং শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে
আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুটকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এই সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে সারা জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে নেতা কর্মীদের দৌড় যাপ।
গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী হাতিয়ে নেওয়ার আশায় খন্ড খন্ড গ্রপের নেতাদের প্রচার প্রচারণার যেন শেষ নেই। যার যার সমর্থকরা তাদের পছন্দের নেতাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান।
১১ই ফেব্রুয়ারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন। যেখানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা এবং সম্মেলনের মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কার কাঁদে তুলে দেওয়া হবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব?
গত সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির তালিকা প্রকাশের পর খন্ড খন্ড হয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগ।
রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মসূচি পালন করতে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট ও তার অনুসারীদেরই দেখা গিয়েছে মাঠে ময়দানে রাজ পথে আন্দোলন করে জামাত বিএনপিকে মোকাবেলা করতে। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় নুরুল হুদা মুকুটের নেতৃত্বে ত্যাগী নেতা কর্মীদের প্রতিটি কর্মসূচি পালন করতে দেখাগেছে জেলাজুড়ে।
তারই ধারা বাহিকথায়। এবার সম্মেলনে দল নুরুল হুদা মুকুটকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করবেন এমনটি আশাবাদী মুকুট অনুসারীরা। সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে শুনেই তাদের তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
নেতারা জানান আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুটের কোন বিকল্প নেই এমন গুনঞ্জন শুনা যাচ্ছে জেলাজুড়ে।
গত সপ্তাহ খানেক সরেজমিনে ঘুরে শতাধিক নেতা কর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায় নুরুল হুদা মুকুট ছাড়া সুনামগঞ্জ অন্য কোন নেতা কর্মীরা যদি আওয়ামী লীগের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তাহলে আগামীতে খন্ড খন্ড হয়ে ধংশের দাড়প্রান্তে চলে যাবে জেলা আওয়ামী লীগ। এমনকি আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় অনিশ্চিত হতে পারে?
কারন গত ৭ বছর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অবহেলার কারনে প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের ভরা ডুবি হয়েছে। তাই এবার দল নুরুল হুদা মুকুটকে সভাপতি করে ত্যাগী নেতাদের স্বপ্ন পূরণ করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন শতশত তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।
আর তাদের প্রিয় নেতার জন্য সম্মেলনে দলে দলে হাজার হাজার নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে উঠবে শহরের রাজপথ।
বিশ্বম্ভপুর উপজেলা থেকে কয়েক হাজার নেতা কর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন নিয়ে প্রিয় নেতা নুরুল হুদা মুকুটকে সভাপতি হিসেবে দেখতে বিশ্বম্ভপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ তৈয়বুর রহমান এর নেতৃত্বে সকাল ১০টায় শহরে প্রবেশ করবে ৪০টি ট্রাক ভর্তি ও ৪ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে একটি বিশাল মিছিল।
এছাড়া জেলা মুক্তি যোদ্ধা সন্তান কমান্ড, মুক্তি যোদ্ধা সংসদসহ ছাত্রলীগ যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা কেপ মাথায় তৈয়বুরের নেতৃত্বে শহরে প্রবেশ করবে।এছাড়াও ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল, যুবলীগ এবং প্রতিটি অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে মুকুট অনুসারীরা মিছিলে মিছিলে নুরুল হুদা মুকুটকে সভাপতি হিসেবে দেখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবী জানিয়ে মুখরিত করে তুলবেন সারাশহর।
কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা মুকটকে সভাপতি করে তৃণমূল নেতাদের প্রাণের দাবীর মূল্যায়ন করবেন এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।