প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৩:২২:৩০ অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা তো হবে, কিন্তু প্রতিপক্ষ কোথায়? প্রতিপক্ষ তো নরম হয়ে গেছে। আন্দোলনের খেলায় তো পরাজিত হয়ে গেছেন। এখন বাকি আছে নির্বাচন। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের রঙিন খোয়াব দেখতে পারেন। কিন্তু এ স্বপ্ন কোনোদিনও পূর্ণ হবে না। বিএনপি গণ-অভ্যুত্থানের কথা বলে, অথচ গণআন্দোলনই করতে পারল না। গণ-অভ্যুত্থান করবে কবে? কোন বছর? এখন বলবে আগামী নির্বাচনের পর।
শনিবার বিকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।
বিএনপি জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বগুড়ায় উপনির্বাচনে হিরো আলমকে প্রার্থী করেছিল মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব বললেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে।’ হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল তার। তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাছে ক্ষমতা দেওয়া মানে আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়া। আমরা বিএনপির পালটাপালটি কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। তারা কর্মসূচি করছে নয়াপল্টনে, আমরা করছি কামরাঙ্গীরচরে। পালটাপালটি হলে তো বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে করতাম। বিএনপিকে পাত্তা দেওয়ার কিছু নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো পালটাপালটি নয়, কিন্তু আগামী নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের কোনো না কোনো কর্মসূচি থাকবে। বিএনপির পদযাত্রা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের পতনযাত্রা শুরু হয়েছে। বিএনপির ভুয়া দাবির সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীও কমে যাচ্ছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, ‘কত যাত্রা দেখাইলেন! কত কথা কইলেন! পরিষ্কার করে বলি, কামরাঙ্গীরচরের মানুষ কিন্তু অত্যন্ত পরিষ্কার। সজাগ। ত্যাগী নেতা। তারা যদি একবার রাস্তায় নেমে যায়, বিএনপির খোঁজ পাওয়া যাবে না।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে। কোনো ধরনের অসাংবিধানিক সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা কোনো অনির্বাচিত সরকার আর বাংলাদেশে আসবে না।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, এরা সংবিধান মানে না। এরা দেশের আইন মানতে পারে না। তারা কোনো কিছু মানতে চায় না। আমরা সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতাদের বলে দিতে চাই, আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ভোট বর্তমান সরকারের অধীনে হবে। নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে।