• সুনামগঞ্জ

    টাইলা বাজারে ৪ সহোদরকে কুপিয়ে আহত করার মামলায় এক আসামী গ্রেপ্তার

      প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৭:০৯:৪৮ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা বাজারে বাচ্ছাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে চারটি নিরীহ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে হামলা,ভাংচুর,ব্যবসার নগদ একলাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে ৪ সহোদরকে কুৃপিয়ে গুরুতর জখম করার মামলায় ৪ নং আসামী অসিত রঞ্জন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।

    শনিবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শান্তিগঞ্জ থানার এস আই অনুপদ দেবনাথের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সিভির পোশাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাইলার গ্রামের পাশে ঠাকুরভোগের হাওরে আসামী গরুর ঘাস কাটার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

    গ্রেপ্তারকৃত আসামী অসিত রঞ্জন দাস টাইলা গ্রামের মৃত জ্ঞান রঞ্জন দাসের ছেলে এবং তার বিরুদ্ধে এই হামলার ঘটনায় ইন্দন রয়েছে বলে বাদি পক্ষের লোকজন জানান। এ ঘটনায় গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাতে গুরুতর আহত পরিমল চন্দ্র দাস বাদি হয়ে টাইলা গ্রামের ঝুনু দাসকে প্রধান আসামী কওে এবং ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অঞ্জাতনামা আরো কয়েকজনকে সম্পৃত্ত করে শান্তিগঞ্জ থানায় ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২)/১১৪ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-৬,তারিখ ১৪/০২/২০২৩ ইং।

    মামলায় টাইলা গ্রামের মৃত বিনদ বিহারী দাসের ছেলে ঝুনু দাস(৬০)কে প্রধান আসামী করে তার সহোদর বিকেশ চন্দ্র দাস(৫৮),মৃত,মৃত মাখন দাসের ছেলে সুষেন দাস(৫৫),মৃত জ্ঞান রঞ্জন দাসের ছেলে অসিত চন্দ্র দাস(৪২),মৃত নুনু দাসের ছেলে ভানু দাস(৪৫) ও প্রাণ কৃষ্ণ দাস(৩০),বিক্রয় দাসের ছেলে দীপক দাস(৩০)ও বিউটন দাস(৩২),মৃত বিধু রঞ্জন দাসের ছেলে বিক্রয় দাস(৬০),ঝুনু দাসের তিন ছেলে হরি দাস(২৮),নিতাই দাস(২৬),গৌর নিতাই দাস(২৪),সুষেন দাসের দুই ছেলে সুবল দাস(২৮),সুবোধ দাস(২৫),ভানু দাসের ছেলে স্বপন দাস(২০)বিকেশ দাসের ছেলে বিবেক দাস(২২),মৃত মানিক দাসের ছেলে মিন্ট দাস(২৮) এই ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অঞ্জাতনামা আরো কয়েকজন আসামী করা হয়। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১২ ফেব্রæয়ারী বিকেলে বাদির বড়ভাই গুরুতর আহত সুধারঞ্জন দাসের ছেলের সাথে একটি কুকুরের ছানা নিয়ে একই গ্রামের হামলাকারী আসামী ঝুনু দাস ও সুষেন দাসের ছেলেদের কথা কাটাাকটির এক পর্যায়ে বাচ্ছাদের মধ্যে মারামারি হয়।

    এ্ই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার রাত আনুমানিক ৯টায় কাছাকাছি সময়ে মামলার প্রধান আসামী ঝুনু দাস,বিকেশ দাস,সুষেন দাস ও অসিত দাসের নেতৃত্বে নামাংঙ্কিত আসামীরা তাদের গ্রুপের ১৮/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র রামদা,দা,ডেগার ও লাঠিসোটা নিয়ে টাইলা বাজার সংলগ্ন নিরীহ সুধারঞ্জন দাস ও তার তিন সহোদরের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাঠ চালায়। এসময় হামলাকারীরা ৪ সহোদর সুধারঞ্জন দাস,সুজিত দাস,পরিমল চন্দ্র দাস ও সনজিৎ দাসকে মাথা পিঠসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে । হামলাকারীরা আহত অটো মিল ব্যবসায়ী সুধারঞ্জন দাসের পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার ও ছানা দুধের ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র দাসের পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা সহ মোট একলাখ ১০ হাজার টাকাসহ আসবাবপত্র লুটপাঠ করে নিয়ে যায় । তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় আহতদের তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।

     

     

     

    আহত সবার মাথা ও পিঠে একাধিক দাড়াঁলো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এরমধ্যে সুধারঞ্জন দাসের বাম চোখে রড দিয়ে আঘাত করায় তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলেও উন্নত চিকিৎসা শেষে তারা এখন নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই অনুপম দেবনাথ অসিত রঞ্জন দাস নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. খালেদ চৌধুরী আসামী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content