প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৮:২৩:০১ অনলাইন সংস্করণ
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথপুর পৌর শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো ইজিবাইক ও সিএনজি চালকেরা স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। এতে করে পৌর এলাকায় যানজট লেগেই আছে। ইদানিং পৌর পয়েন্ট এলাকায় বাসস্ট্যান্ড ও ঢাকাগামী বাস স্টপিজ হওয়ায় জগন্নাথপুর পৌর ও উপজেলাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে পড়েছেন।
আজ ১৯ শে ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় ও জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ টিএন্ডটি সড়ক, শহীদ মিনার রোড, চিলাউড়া পয়েন্ট, রানীগঞ্জ রোড ও পৌর পয়েন্ট এলাকায় ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ( টমটম গাড়ী) ও সিএনজি চালকেরা মূল সড়ক গাড়ীর স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। যারফলে পৌর শহরে যানজট লেগেই আছে। হরহামেশাই ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এরই মধ্যে মরার উপর খারার গা হয়ে দেখা দিয়েছে বাসস্ট্যান্ড ও ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস স্টপেজ। কারন বেশ কিছু দিন ধরে জগন্নাথপুর পৌর ভবনের প্রায় একশত গজ দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত মাদিহা প্লাজার সামন (রানীগঞ্জ রোড) জগন্নাথপুর টু শেরপুরগামী লকাল বাস স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত যাত্রী উঠানো -নামানো করছে এবং সুনামগঞ্জ টু ঢাকাগামী বাস গুলো একই জায়গায় গাড়ী থামিয়ে যাত্রী সাধারণ উঠানো নামানোর করছে।
এতে করে পৌর পয়েন্ট, টিএন্ডটি রোড ও রানীগঞ্জ রোডে দীর্ঘ সময় ধরে যানজট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে পড়ে। যার ফলশ্রুতিতে অন্যান্য যানবাহনের যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ছোটখাটো যানবাহনের যাত্রী ও একাধিক পথচারী তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, সবসময়ই পৌর শহরে যানজট লেগেই আছে। সম্প্রতি ডাকবাংলো ব্রীজ ধেবে যাওয়ার কারনে শহীদ মিনার রোডে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার ফলে টিএন্ডটি রোডে যানবাহন চলাচল এর চাপ বেড়েছে। পৌর পয়েন্ট, চিলাউড়া পয়েন্ট ও টিএন্ডটি রোডে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক (টমটমগাড়ি) ও সিএনজি গাড়ী গুলো অবৈধ ভাবে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। নতুন করে জগন্নাথপুর টু শেরপুরগামী বাস পৌর পয়েন্টের দক্ষিণ পার্শ্বে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করায় এবং একই স্থানে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানো নামানোর কাজ করার ফলে আমাদেরকে নানামুখী সমস্যার সম্মূখীন হতে হচ্ছে। বিধায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন জগন্নাথপুরবাসী।