• সুনামগঞ্জ

    জগন্নাথপুরের হাওরে এক্সক্যাভেটর মেশিন আগুনে পড়ে ছাঁই, ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

      প্রতিনিধি ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ২:৪৮:৫৩ অনলাইন সংস্করণ

    হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুর এর নলুয়া হাওরের বেড়িবাঁধ এর কাজে থাকা একটি এক্সক্যাভেটর মেশিন আগুনে পুড়িয়ে ছাঁই করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

    এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। মেশিনটি পুড়ে যাওযায় প্রকল্পের মাটি কাটা কাজ বন্ধ রয়েছে। ৮ ই ফেব্রুয়ারী রোজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়, হাওর কন্যা খ্যাত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের বোরো ফসল রক্ষা কল্পে অন্যান্য বছরের ন্যায় উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত কান্দাগাঁও এবং নোয়াগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কামারখালী নদীর পশ্চিম পাড়ে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩ শত ৬৩ টাকা ব্যায় সাপেক্ষে ১ নং পিআইসি প্রকল্পের মাধ্যমে এক্সক্যাভেটর মেশিন দিয়ে হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ এর নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন ১নং পিআইসি কমিটির সভাপতি মাষ্টার মিজানুর রহমান ও সদস্য সচিব ওবায়দুর রহমান তালুকদার ওরফে মকুল।

    সারাদিন মাটিকাটা শেষে রাতে গ্রামের পাশে বাঁধ এলাকায় হাওরে রাখা হয় মেশিন। এই মেশিনটি পাহারা দেওয়ার জন্য লোকও থাকে। গতকাল ৭ ই ফেব্রুয়ারী রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা এই মেশিনটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে এক্সক্যাভেটর মেশিনের চালক ও মাটিকাটার শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে মেশিনের অধিকাংশ আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

    অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মেশিনের মালিক ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদ এর মেম্বার মোঃ নজর আমীন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ১ নং পিআইসি কমিটির সভাপতি মাষ্টার মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বেড়িবাঁধ এর কাজে থাকা মেশিনটি কে-বা কাহারা আগুনে জ্বালালো আমি জানিনা।

    এবিষয়ে ১নং পিআইসি কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুর রহমান তালুকদার ওরফে মকুল বলেন, প্রথমে বেড়িবাঁধে মাটি কাটতে কিছু লোক বাঁধা প্রধান করেছেন। গতরাতে এক্সক্যাভেটর মেশিন পাহারাদার আব্দুল খালেককে মারপিট করা হয়েছে। পরে মেশিন পুড়ানো হয়েছে।

    ঘটনাটি আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার মুহিত সহ অনেকে দেখেছন ও জানেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি আইনের আশ্রয় নেব। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মোহাম্মদ হাসান গাজী বলেন, এই এক্সক্যাভেটর মেশিনটি পুড়ে যাওযায় আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। মেশিন পোড়ানোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এখানে বিকল্প ব্যবস্থায় বেড়িবাঁধে মাটি কাটা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content