প্রতিনিধি ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ , ৩:২৭:১৬ অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লা থামালো অপ্রতিরোধ্য সিলেটকে! ইনিংসের ৯.৩ ওভারে ৫৩ রানে ৭ উইকেট নেই টানা পাঁচ জয়ে উড়তে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের। অপেক্ষা করছিল কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে দলকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দেন পাকিস্তানি ইমাদ ওয়াসিম ও শ্রীলঙ্কান থিসারা পেরেরা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে রীতিমতো খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেছেন এই জুটি। ৬৩ বলে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৮০ রানের জুটি। যে জুটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৩৩ রান তুলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাবে ৬ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান করে ৫ উইকেটে দ্বিতীয় জয় পায় কুমিল্লা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই কুমিল্লার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে সিলেট। টপঅর্ডারের সাত ব্যাটারের কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। মোহাম্মদ হারিস ৭, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩, আকবর আলি ১, জাকির হাসান ৯, মুশফিকুর রহিম ১৬, শরিফুল্লাহ ১ আর মাশরাফি বিন মর্তুজা ফেরেন খালি হাতে। ৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা সিলেটকে উদ্ধার করেন ইমাদ আর পেরেরা। ইমাদ ৩৩ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৪০, পেরেরা ৩১ বলে দু’টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে স্ট্রাইকার্সদের সংগ্রহ ১৩৩। হাসান আলি ও মুকিদুল দু’টি করে, রনি ও তানভির একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে খেলতে নেমে ৫৭ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে কুমিল্লার। রানআউটের শিকার হন রিজওয়ান (২ চারে ১৮ বলে ১৫ রান)। এরপর দেখেশুনে ওপেনার লিটন দাস খেলতে থাকেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে নিয়ে। তাদের রসায়নে আগের ম্যাচগুলোতে দাপট দেখানো সিলেটের বোলাররা খেই হারিয়ে ফেলেন। এর মাঝে ৩৪ বলে ৬ চার ও দুই ছয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন দাস। ১২তম ওভারের শেষ বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ইমরুলকে (১৮) ফেরান শরীফুল্লাহ। ১৪.৩ ওভারে দলীয় ১১১ রানে লিটন দাসকে ফেরান মাশরাফি। পেরেরাকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৪২ বলে ৭ চারে ৪ ছক্কায় ৭০ রান করেন লিটন। এরপর খুশদিল শাহ ৩, জাকের আলীকে ০ তে ফিরিয়ে কিছুটা ভীতির সঞ্চার করে সিলেট। শেষ পর্যন্ত জনসন (১৮) ও মোসাদ্দেকের (৫) দৃঢ়তায় ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান করে দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় ভিক্টোরিয়ান্সরা। মাশরাফি দু’টি ও শরিফুল্লাহ একটি উইকেট নেন।
Notifications