• অনিয়ম / দুর্নীতি

    ২১ বছর আগে উচ্চ আদালতে মীমাংসিত বিষয় নিয়ে সাংবাদিক আব্দুল কায়ূমকে জড়িয়ে নাবেদ’র ভূয়া সংবাদ প্রচার ও মিথ্যাচার

      প্রতিনিধি ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ , ৫:৩৩:২৩ অনলাইন সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ ২১ বছর আগে উচ্চ আদালতে মীমাংসিত বিষয় নিয়ে হলুদ সাংবাদিক নাবেদ মিয়া বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও পেইজে বানোয়াট ভিডিও প্রচার এবং স্থানীয় পত্রিকায় ভূয়া সংবাদ প্রকাশ ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির সিলেট বিভাগীয় কমিটির সহকারী সম্পাদক জাতীয় দৈনিক মুক্তালোক ষ্টাফ রির্পোটার সাংবাদিক আব্দুল কায়ূম।

    তিনি এক প্রতিবাদ লিপিতে বলেন নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ বাজারের ফার্মেসী কর্মচারী রঞ্জু দাস এর রহস্যজনক খুনের ঘটনায় প্রায় ২২ বছর আগে ১৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ফার্মেসি মালিক হিরণ মিয়া। এক বছরপর নিম্ন আদালত সাজা দিলে, সেই ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকায় ২১ বছর আগে উচ্চ আদালত ১৩ জনের সবাইকে মামলা থেকে বেখসুর খালাস প্রধান করে।
    রঞ্জু হত্যা মামলা দায়েরের সময় আসামী সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ূমের বয়স মাত্র ১২ বছর ছিল এবং ১২ বছরের শিশু ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল কাইয়ূমকে তৎকালীন সংসদ সদস্য জাতীয় নেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী এমপি থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছিলেন।

    দ্বিতীয়ত সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ূমের আপন চাচাতো ভাই সবজী ব্যবসায়ী লিটন মিয়া নিখোঁজ ও পরবর্তীতে লাশ উদ্ধারের পরে সন্দেহভাজন আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর এলিট ফোর্স র‍্যাব বান্দরবন্দ থেকে ২ জন ও ৪ আসামীকে হবিগঞ্জ এবং নবীগঞ্জ পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং আসামীরা লিটন মিয়া গুম ও হত্যার কথা স্বীকারোক্তি জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

    এই বিষয়ে আমার চাচাতো ভাই অথবা পরিবারের অন্য কাহারো কোন সন্দেহ বা অভিযোগ নেই বরং সাংবাদিক আব্দুল কায়ূম নিজ চাতাতো ভাই নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন এবং আসামীদের গ্রেফতারে মূখ্য ভূমিকা রাখেন এজন্য আসামীদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে কথিত সাংবাদিক নামধারী নাবেদ মিয়া বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন।

    ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান নির্বাচিত সদস্য ও রঞ্জ হত্যা মামলার বাদী হিরণ মিয়ার ভাতিজা  মতচ্ছির রহমান এর উদৃতি দিয়ে লিটন মিয়া নিখোঁজ ও হত্যা মামলায় সাংবাদিক কায়ূম কে জড়িয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রচার করলে এক ভিডিও বার্তায় এবং লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য মতচ্ছির রহমান বলেন আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে নাবেদ মিয়া তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আমি কখনো সাংবাদিক আব্দুল কায়ূম তার চাচাতো ভাই হত্যায় জড়িত আছে তা বলিনি এবং রঞ্জু হত্যার ঘটনায় কায়ুম জড়িত সেটাও বলিনি, এটা সম্পূর্ণ অপপ্রচার ও যড়যন্ত্র এবং মিথ্যাচার। বরং সাংবাদিক পরিচয়ে নাবেদ মিয়া আমাকে রঞ্জ হত্যা মামলার বিষয়ে যোগাযোগ করলে আমি বলেছি এটা ২০-২১ বছর আগে নিষ্পত্তি হয়েছে এটা এখন কেন বলছেন?  তখন নাবেদ মিয়া বলে আগামীকাল কায়ূম ঠেলা বুঝবনে কি হয়! অথচ আমি এই দুই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কাউকে দায়ী করে কিচ্ছু বলিনি, নাবেদ মিয়ার নিউজ সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত বিষয়।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক আব্দুল কায়ূম বলেন – রঞ্জু হত্যার বাদি উচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে সেই সময় আর কোন আপিল করেননি যা একটি মীমাংসিত বিষয়।তাছাড়া খালাস প্রাপ্তদের মধ্যে অর্ধেকের বেশী ইতিমধ্যে মৃত্যবরণ করেছেন বাকিরা দেশের বাহিরে সেটেল্টড, একদুইজন দেশে আছেন।
    এমতাবস্থায় যুবদল ক্যাডার সাংবাদিকতার আড়ালে সম্মানিত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মীমাংসিত বিষয়ে সম্মানহানির মনগড়া সংবাদ ফেসবুক পেইজ ও অনলাইন পোর্টালে  প্রকাশ করে অর্থ আদায়ের ফন্দিফিকির করে বাড়ায়।
    হলুদ সাংবাদিক নাবেদ মিয়া লিটন হত্যা মামলার আসামীদের রক্ষায় আমাদের নিজ পরিবারের লোকদের জড়িয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং কিছু প্রিন্ট পত্রিকা ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই না করেই সংবাদ প্রকাশ টাকাপয়সার বিনিময়ে মিমাংসীদ বিষয়ে সাংবাদিক আব্দুল কায়ূম ও বর্তমান ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ নোমান হোসেন সহ নির্দোষ ও সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে সম্মানহানি করছে।
    এলাকার সাধারণ লোকদের মিথ্য সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে এলাকার লোকজন সাংবাদিক আব্দুল-কাইয়ূমকে অবহীত করলে পর দিন সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ূম প্রতিবাদ নিউজ করেন এবং নাবেদ মিয়াকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে বাঁধা দিলে পর দিন ১৯ সেপ্টেম্বর আপন চাচাত ভাই লিটন হত্যায় জড়িত বলে সাংবাদিক আব্দুল-কাইয়ূমের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে।
    গত ২১ সেপ্টেম্বর অনলাইনে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের তথ্য প্রমান নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিলে সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ূম’কে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের সাংবাদিক আশাহীদ আলী (আশা)সর্ব প্রকার তথ্য প্রমাণ দেখে সমাধানের প্রস্তাব দেন।
    সাংবাদিক আব্দুল-কাইয়ূম রাজি হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর নবীগঞ্জ উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি সজিব মিয়া,সাধারন সম্পাদক ইকবাল তালুকদার,সাংবাদিক আলী জাবেদ(মান্না),আলাল ও নুরুল প্রমূখ অনলাইন সংবাদিক নাবেদ মিয়ার এলাকায় নবীগঞ্জে বসে আলোচনার মধ্যদিয়ে সমাধান হ।এ সময় যুবদল নেতা নাবেদ মিয়া এরকম মিথ্যা নিউজ আর প্রকাশ করব না বলে আশ্বাস দেন।
    দুইমাস পর পূর্বের ঘটনার জের ধরে গত ৯ ডিসেম্বর একটি অনলাইন পেইজ থেকে দীর্ঘ ২২ বছর আগের ইনাতগঞ্জ রঞ্জু হত্যার আত্মীয়দের বের করে শিখিয়ে বুঝিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান ও উচ্চ আদালতে খালাস প্রাপ্তদের নামে রঞ্জুর চাচাত ভাই মঞ্জুর ও পুত্র রমিত দাসের মাধ্যমে শিখিয়ে বুলিয়ে ফাঁসি দাবি করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে বিএনপির যুবদল নেতা নাবেদ মিয়া।
    সাংবাদিক নামধারী ধান্ধাবাজ দুরন্তর নাবেদ মিয়া গত শনিবার মোবাইল ফোনে তাকে হত্যার করার হুমকির মিথ্যে অভিযোগ এনে সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ূমের নাম উল্ল্যেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে।
    সাংবাদিক আব্দুল কায়ূম বলেন-মূলত আমার বাবা ২২ বছর আগে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় তিনি যুবলীগের রাজনীতিতে থাকাকালীন অবস্থায় ইউ/পি চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করেন বিএনপি নেতা হিরণ মিয়ার সাথে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিরণ মিয়ার সাথে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। এই সময়ে রহস্যজনক ভাবে কেবা কারা হিরণ মিয়ার ফার্মেসীর কর্মচারী রাঞ্জুকে খুন করে এই ঘটনায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে আমার পিতা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী সাবেক ইউপি সদস্য শকদিল হুসেন সহ আমি ১২ বছরের শিশুকে সহ ১৩ জনকে আসামী করে মামলা করেন। সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ূম বলেন আমার বাবা শকদীল হুসেন(মেম্বার)মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৫ বছর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিতে জরিত ছিলেন ও বর্তমান হবীগঞ্জ জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী আমার বাবার রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু,আমার বাবা নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীগের সিনিয়র সহ যোদ্ধাদের একজন ও ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকাকালীন অবস্থায় গত ২০১৫ ইং মৃত্যু বরণকরেন।
    সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ূম বলেন যুবদল নেতা নাবেদ মিয়ার সবগুলি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content