• সিলেট

    সুনামগঞ্জে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠণের ঘোষণা দিলেন জেলা প্রশাসক

      প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ , ২:৫৮:৫০ অনলাইন সংস্করণ

    আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ থেকে: আলোচনা ও সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে পঞ্চরতœ বাউলের দেশ সুনামগঞ্জে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী কে স্বাগত জানাতে সাংস্কৃতিক আড্ডা সম্পন্ন হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আবেদীন।

    রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগ্রহশালায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সেক্রেটারী অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ,দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর পত্রিকার সম্পাদক পংকজ দে, পৌর কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী মনি,জয়বাংলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বাউল শাহজাহান,বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল,জেলা উদীচীর সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি খলিল রহমান,সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষ ও নাট্যকার দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ সভাপতি বিজন সেন রায়, যুগ্ম সম্পাদক দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন,জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোহন মিঞ্জিসহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। সভায় সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল বলেন,সুনামগঞ্জ হচ্ছে পঞ্চরত্ন বাউলের দেশ। ঐতিহ্য যাদুঘরে জেলার ৫ প্রধান লোককবি যথাক্রমে বৈষ্ণব কবি রাধারমন দত্ত,মরমী কবি হাছন রাজা,গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন),বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম ও জ্ঞানের সাগর দূর্বিণ শাহ এর প্রতিকৃতি সিরিয়্যালি স্তরে স্তরে সুন্দর করে সাজিয়ে গেছেন সাবেক জেলা প্রশাসকরা। কিন্তু জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে ৪ প্রধান লোকশিল্পীর ভাস্কর্য্য এলোমেলোভাবে স্থাপন করা হয়েছে। তাই এখানে বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) সহ পঞ্চরতœ বাউলের ছবি সংবলিত ভাস্কর্য্য জেষ্টতার ক্রমানুসারে সিরিয়্যালি স্থাপনের দাবী জেলার সকল সংস্কৃতি কর্মীদের প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়েছে।

    এ দাবীর সাথে একমত পোষণ করে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট শামছুল আবেদীন ও সাংবাদিক পংকজ দে সহ উপস্থিত আলোচকরা। তারা জেলার সকল গীতিকারদের গান নিয়ে বই প্রকাশনা ও ৫ প্রধান লোককবির জন্ম ও মৃত্যবার্ষিকী জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজনের দাবী জানান। অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ ৫ প্রধান লোককবির নাম উল্লেখ করে বলেন,সুনামগঞ্জ হচ্ছে সংস্কৃতির একটি উর্বর জায়গা। এখানে বাংলাদেশের অনেক গুণি শিল্পীর জন্ম। সংস্কৃতি অঙ্গনের এই বহমান ধারা অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসকের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জের সংস্কৃতি অঙ্গনের কর্মীরা গত ২টি বছর করুনা মহামারী ও বন্যা দুর্যোগের মোকাবেলা করে ঠিকে আছেন। তাদের সামনেও অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু সমস্যাকে সামনে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বেগবান করতে সব ধরণের উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়াও শিল্পীদের কল্যাণে আমরা শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠণ করে এ জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে সবরকম প্রচেষ্টা নেবো। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।

    আরও খবর

    Sponsered content