প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ১:৫৬:২৬ অনলাইন সংস্করণ
মাঠে ও এর পাশের সড়কে তখন বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। এতে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘাতের শঙ্কায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এ সময় দলীয় কর্মীদের সড়ক থেকে মাঠের ভেতরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা বিকালে চৌহাট্টা এলাকায় সমবেত হন। কয়েকটি মিছিল মাদ্রাসা মাঠের পাশ দিয়েও আসে। পরে ৪টার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেলে স্লোগান দিতে দিতে চৌহাট্টা থেকে ছাত্রলীগের মিছিল জিন্দাবাজার ঘুরে আবার চৌহাট্টায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে চৌহাট্টা এলাকায় অবস্থান নেন তারা। কাছাকাছি দুপক্ষের অবস্থানের কারণে চৌহাট্টা এলাকার ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
পুলিশও সতর্ক অবস্থান নেয়। কিছু সময় পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জিন্দাবাজারের দিকে চলে যেতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে জিন্দাবাজার হয়ে বন্দরবাজারের দিকে চলে যান।
মিছিলে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কাওসার জাহগান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। বিএনপির সমাবেশের আগে শোডাউন সম্পর্কে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, বিএনপির অপপ্রচার, মিথ্যাচারসহ দেশব্যাপী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিএনপি সমাবেশের নামে নগরে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা রাজপথে নেমে জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি।
ছাত্রলীগের এই শোডাউন প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়ক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন বলেন, তারা মামলা দিয়ে, হামলা করে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে।
তাতে কাজ না হওয়ায় আজ সমাবেশস্থলের পাশ দিয়ে শোডাউন করে ভয় দেখাতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। তাদের আর ভয় দেখানো যাবে না। এই সরকারের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত জনগণ ঘরে ফিরে যাবে না। শনিবার সিলেটে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। ছাত্রলীগের মিছিল আমরা রিকাবীবাজার বা মাদ্রাসা মাঠের দিকে যেতে দেইনি। রিকাবীবাজার ও চৌহাট্টা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।