প্রতিনিধি ২০ নভেম্বর ২০২২ , ২:০৩:০৬ অনলাইন সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশকে সফল করার লক্ষে মিছিল করে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন মো: নয়ন (২২) নামের এক ছাত্রদল নেতা। এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের আরো কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নয়ন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। তিনি ওই ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশকে সফল করার লক্ষে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের গুলিতে নয়নসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের আরো কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। আহত নয়নকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ শাওন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অপরদিকে পুলিশ দাবি করেছে, এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল, বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল শফিক ও বিশ্বজিৎ। তারা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে মোল্লাবাড়ি এলাকায় বিএনপি নেতা সাইদুজ্জামান কামালের বাড়িতে প্রস্তুতি সভা করে স্থানীয় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সভা শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে রাস্তায় মহাসমাবেশে লিফলেট বিতরণ করার সময় পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালায়। এতে ছাত্রদল নেতা নয়ন পেটে গুলিবিদ্ধ হয়।
বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব আতাউর রহমান জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দিয়ে তিনজকে আটক করে। পরে আটকদের পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার সময় পুলিশের সাথে ধস্তধাস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ নয়নের পেটে গুলি করে।
এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান আতাউর।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম বলেন, পুলিশ সদস্যদের দেখে মিছলকারীরা উগ্র হয়ে যায়। তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা কনস্টেবল শফিক ও বিশ্বজিতের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালায়। তবে নয়ন কিভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।