প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২২ , ৮:০০:০৯ অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রাম্যমান আদালতে আটককৃত জাল না পুড়িয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তাহিরপুর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর বহস্পতিবার তাহিরপুর সহকারী কমিশনার(ভূমি) টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১১টি কোনা জাল ও বেরজাল আটক ও ২৬’শ টাকা জড়িমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা শেষে ১১টি জাল টাঙ্গুয়ার হাওরের গোলাবাড়ি আনসার ক্যাম্পে জব্দ করে রাখা হয়।আটককৃত জালের বর্তমান বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা হবে বলে তারা জানান।
এলাকায় অভিযোগ উঠেছে জব্দকৃত জাল ৫ নভেম্বর শনিবার বিকেলে একটি জাল আগুনে পুড়িয়ে বাকী ১০টি জাল বিক্রি করেছে টাঙ্গুয়ার হাওর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির লোকজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অতীতে টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রাম্যমান আদালতে আটককৃত জাল প্রশাসনের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়ানো হয়েছে। এতগুলো জাল প্রশাসনের অনুপস্থিতে পুড়ানো দেখেই তাদের সন্দেহ জাগছিল।
বৃহস্পতিবারে হাওরে যে অভিযান চালানো হয়েছে টাঙ্গুয়া হাওরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিযান। তারা আরো জানান, বিক্রি করা জালগুলোর মধ্যে একটি জাল দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের এক জেলের নিকট ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
হাওরপাড়ের লোকজনের অভিযোগের আঙ্গুল টাঙ্গুয়ার হাওর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির লোকজন ও গার্ডদের উপর। তারা জাল না পুড়িয়ে তারা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছে আটককৃত সকল জাল পুড়ানো হয়েছে।
টাঙ্গুয়ার হাওরে জীববৈচিত্র্য নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছে উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিনোর্স সার্ভিস(সিএনআরএস)। সংস্থাটির তাহিরপুর উপজেলা সমন্বয়কারী ইয়াহিয়া সাজ্জাদ বলেন,টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রাম্যমান আদালতে জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়াতে হলে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটের উপস্থিতিতে পুড়াতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে টাঙ্গুয়ার হাওর নদী পথে প্রায় ২০ কিলোমিটার। ওখানে আসা যাওয়া অনেক টাকা ব্যয় হয়। ওই টাকা তাদের পকেট থেকে গুনতে হয়। টাঙ্গুয়ার হাওর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির লোকজন এতো অসৎ হলে কি আর করা যায়।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।