• অনিয়ম / দুর্নীতি

    কম্বোডিয়া প্রবাসী দিরাইর শহিদুর দালালের এর খপ্পরে পরে নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার

      প্রতিনিধি ২৭ নভেম্বর ২০২২ , ৯:২২:০৩ অনলাইন সংস্করণ

     নিজস্ব প্রতিবেদক। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলার অসংখ্য পরিবার বিদেশি দালালের খপ্পরে পড়ে খুয়েছেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, প্রতারিত পরিবার গুলোর বেশির ভাগই অসহায় দিনমজুর। নুন আনতে পান্তা ফুরায় যাদের এমন সহজ সরল মানুষ গুলোর সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া দালাল সিন্ডিকেটের মূল হুতা কম্বোডিয়া প্রবাসী শহিদুর।

    কথিত দালাল শহিদুর এর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়ন এর সালেয়া রাজনগর। সে মৃত আজিজুর রহমানের ছোট ছেলে। বাংলাদেশ থেকে তাঁর দালাল সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে শহিদুর এর ভাই মুহিবুর।

    দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করার পর সামনে আসে দালাল শহিদুর এর কজন সহায়কের নাম এর মধ্যে দিরাই থেকে মুহিবুর, সিদ্দেক, জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউরা থেকে সেমেদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিদেশের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ। জগন্নাথপুর ইকরচই গ্রামের শিপু, পাটলী উত্তর পাড়ার আফজাল, ও দিরাই’র রেজু মিয়া নামে তিন বিদেশ ফেরত যুবক জানান কম্বোডিয়া দালাল শহিদুর ও তাঁর দালাল সিন্ডিকেট সদস্যদের প্রতারণার করুন কাহিনি তারা বলেন আমরা মুর্খ মানুষ এতো মারপ্যাচ বুঝিনা তাদের কথার উপর বিশ্বাস করে কম্বোডিয়া যেতে আমরা রাজি হই এবং মাসুরা সুদের উপর টাকা এনে জন প্রতি পাঁচ লাখ চার লাখ করে টাকা জমা দেই কিন্তুু তারা আমাদের এ সরল মানুষিকতার সুযোগ নিয়ে আমাদেরকে আজ নিঃস্ব করে রাস্তায় নামিয়েছে।

    কাজের ভিসা দেওয়ার কথা বলে আমাদেরকে কম্বোডিয়া নিয়ে একটি অন্ধকার ঘরে রেখে লাপাত্তা হয়ে যায় শহিদুর আমরা তাকে খুঁজতে গেলে বিদেশের আরেক দালাল বলে তোমারা এখন আমার হাওয়ালায় আছো কাজের সময় এলেই তোমাদের ডাকা হবে। আমরা শহিদুরকে কল দিলে সে আমাদের পাশে এসে উল্টো আমাদের হাত থেকে পাসপোর্ট কেড়ে নিতে চায় আমরা পাসপোর্ট না দিলে সে আমাদের মারপিট শুরু করে। এসব ঘটনা মা বাবা কে কল করে জানালে দেশ থেকে শহিদুরকে বলা হয় আমাদের দেশে ফেরত পাঠাতে তখন শহিদুর দেশে ফেরত পাঠাতে আরো একলাখ করে টাকা দাবি করে কথামতো আমরা টাকা দিয়ে দেশে ফিরি। জেনে শুনে আপনারা মানুষের ক্ষতি করে রুটি রোজগারের এমন পেশা বেঁচে নিলেন কেন প্রশ্নের উত্তরে দালাল শহিদুর এর ভাই মুহিবুর বলেন আমি কিছু জানিনা সব আমার ভাই জানে তবে বিদেশের ব্যাপারে আফজাল ও রেজুর কাছ থেকে আমি টাকা নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে শহিদুর এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন নাম্বার চাইলে তার ভাই দালাল মুহিবুর নাম্বার দিতে না রাজ।

    এবিষয়ে জগদল ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশীদ লাভলু বলেন আমি এসমস্ত দালালদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই। যাতে দ্বিতীয় বার আর কেউ এমন প্রতারণার শিকার না হয়।

    আরও খবর

    Sponsered content