• আইন আদালত/সাজা

    স্বাধীন সাংবাদিকতার পথরুদ্ধ করার নতুন হাতিয়ার তথ্য পরিকাঠামো বিষয়ক প্রজ্ঞাপন

      প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২২ , ২:২২:৩৬ অনলাইন সংস্করণ

    সম্প্রতি জারি করা তথ্য পরিকাঠামো বিষয়ক প্রজ্ঞাপনকে সরকারের দুরভিসন্ধি এবং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের নতুন হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

    সোমবার বিএফইউজে একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এবং ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি করেন।

    তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ ধারার দোহাই দিয়ে জারিকৃত তথ্য পরিকাঠামো প্রজ্ঞাপন প্রতারণামূলক। সাংবাদিক সমাজ এটা প্রত্যাখ্যান করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথরুদ্ধ করবে। একই সঙ্গে এটি তথ্য অধিকার আইনের সাংঘর্ষিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে যে ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সেটাকে চূড়ান্ত রূপ দেয়ার জন্যই মূলত এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    বিবৃত্তিতে তারা আরও বলেন, সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতির তথ্য যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে আত্মরক্ষার কৌশল নিয়েছে। এ অপতৎপরতার নেপথ্যে যে সরকারের অসদদুদ্দেশ্য ও দুরভিসন্ধি রয়েছে ঠাণ্ডা মাথায় তালিকা যাচাই করলেই সেটি স্পষ্ট হবে। তালিকায় রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, অডিট বিভাগ, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম নেই। মূলত আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    এ তালিকার মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। যারা নির্বাচনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে। সাংবাদিকরা যেন এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ সংগ্রহ বা প্রকাশ করতে না পারেন- সেজন্যই এই প্রজ্ঞাপন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সংবাদমাধ্যমের ওপর এটি আরেকটি খড়গ।

    এ সময় নেতারা অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং সাংবাদিকদের অর্থদণ্ডের বিধান রেখে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধনীর উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানান।

    আরও খবর

    Sponsered content