• সুনামগঞ্জ

    বিশ্বম্ভরপুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মোস্তাফিজুরকে পিঠিয়ে রক্তাক্ত করেছে সন্ত্রাসী সোহাইব

      প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২২ , ১২:৪৬:১৬ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম গং কর্তৃক গত ২৭ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের আক্রাম আলীর লোকজনের উপর একই সময়ে হামলা ও মামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রফিকুলের বিরুদ্ধে ঐদিন সংবাদ প্রকাশের জেরে জাগরনি টিভির সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক পিঠিয়ে ও কিল ঘুষি দিয়ে আহত করেছে সোহাইব আহমদ নামে এক সন্ত্রাসী। হামলাকারী বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে তাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছিল এই যুবক।

    স্থানীয় ও আহত সাংবাদিকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু চিনাকান্দি বিজিবি ক্যাম্পের পাশে ফারুক মিয়ার চায়ের দোকানে চা খাইতে আসলে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী সোহাইব আমহদ বাবুকে দেখামাত্রই কিল ঘুষি মারার এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে বেদড়ক পিঠিয়ে আহত করে এবং বলে তুই কেন রফিকুলের নামে সংবাদ প্রকাশ করলে। হামলাকারী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের চিনাকান্দি গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার ছেলে। সে তাৎক্ষনিক স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনাটি তাৎক্ষনিক বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার এস আই বজলুল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। এ নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    এ ব্যাপারে হামলাকারী সোহাইব আহমদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোনটি বন্ধ করে দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    এ ব্যাপারে হামলায় আহত সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানান,সংবাদকর্মীরা স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশণ করলেই কিছু পেশাদার সন্ত্রাসীরা রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে থাকেন। আমার উপর হামলাকারী আমার বাড়ির পাশেই চিনাকান্দি গ্রামের সোহাইব আহমদ এক বখাটে হিসেবে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। আজ সকাল বেলা চায়ের দোকানে চা খেতে যাওয়ামাত্রই আমার উপর হামলা চালায় কিলঘুষির এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। আমি আগামীকাল জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি জিডি করব এবং আমি এই হামলাকারি সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

    এ ব্যাপারে ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিলন খান জানিয়েছেন,আমি উভয়কে নিয়ে বিষয়টি শেষ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আহত সাংবাদিক বাবু না মানাতে আমি এখন আর জনপ্রিতিনিধি হিসেবে কি করতে পারি।

    এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বজলুল করিম সাংবাদিকের উপরসন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এই সাংবাদিক থানায় অভিযোগ দিলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content