প্রতিনিধি ২০ অক্টোবর ২০২২ , ৮:৩৮:৪০ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের মনাই নদী প্রকাশিত সনুই জলমহাল দখল হামলা ও এক নিরীহ ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ভাই ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে মামলা এবং পরবর্তীতে পুলিশ বাদি হয়ে পাল্টা মামলার ঘটনায় হামলাকারী ৬০/৬৫ জন আসামীদের মধ্যে মামলায় সন্দেহভাজন ২জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআইয়ের(পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন) সদস্যরা।
বুধবার বিকেলে সিলেট অঞ্চলের পিবিআইয়ের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা ও সিলেটের বিভিন্ন জায়গাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নেত্রকোনা জেলার সাধন ভৌমিক ও মো. তুহিন খান। তাদেরকে বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে বিঞ্জ আদালত তাদের জামিন না মুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারী এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানার এস আই মো. আরিফুল হক বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের আসামী করে ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় পেনাল কোড -১৮৬০ অনুযায় বেআইনিভাবে জলমহালে অনধিকার প্রবেশ করিয়া হত্যার চেষ্টা,মারধর,গুরুতর জখম,ক্ষতিসাধন ও অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধ উল্লেখ করে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ মামলার এক নম্বর আসামী নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার মৃত কুতুব উদ্দিনের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন মুছা,ধর্মপাশা উপজেলার সনুই গ্রামের আব্দুল জব্বরের ছেলে মো. মুজিবুর রহমান(৪৫),তাহিরপুর থানার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মো. হাবুল মিয়া(২৭),নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা থানার বানীগাওঁ গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. ফেরদৌস মিয়া(৫০),ধর্মপাশা উপজেলার সনুই গ্রামের মৃত মিয়া হোসেন খানের ছেলে মো. জহরলাল খান,মৃত মো. রমজান খানের ছেলে খলিল খানকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে সিলেট পিবিআই(পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন) এর তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. তরিকুল ইসলাম দুইজনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এই মামলাটি সিলেট পিবিআইয়ের হাতে।