প্রতিনিধি ২৩ অক্টোবর ২০২২ , ৪:৪৪:২৩ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের উত্তর চাঁনপুর গ্রামে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধের জেরে শতভাগ হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামের একমাত্র মুসলিম পরিবারের নুরুল আমিনের ছেলে রামিম হোসেন এর উপর সন্ত্রাসী হামলা করে গুরুতর আহত করার অভিযোগে দিরাই থানায় মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে গত ২০ অক্টোবর রাত সারে ১১ টায় ৪নং আসামী মহন লাল দাসের ছেলে পৃথিক দাস (৩০) কে ও গতকাল ২২ অক্টোবর রাতে হরিলাল দাসের ছেলে টুটুল দাস (২০) কে গ্রেফতার করে দিরাই থানা পুলিশ। উভয় আসামীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
উল্লেখ্যঃ গত ২০ অক্টোবর সকালে উত্তর চাঁনপুর গ্রামের ৪০ বছর ধরে ভোগ দখলে থাকা জায়গা জোরপূর্বক দখলে করে বেড়া নির্মান করার কারণ জানতে গেলে জায়গার মালিকের ছেলে রামিম হোসেন এর উপর সন্ত্রাসী হামলা করে অরুণ দাস, পৃথ্বিক দাস, বিন্দু ও টুটুল দাস গং।
রক্তাক্ত অবস্থায় রামিম হোসেন কে দিরাই উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তার মাথায় ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
জায়গার বিরোধ নিষ্পত্তিকারী দিরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের একাধিক বারের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান বলেন চন্ডিপুর গ্রাম থেকে প্রায় ৩৫-৪০ বছর যাবত উত্তর চাঁনপুরে বসবাস করছেন নুরুল আমিন।
বাড়ির সামনের জায়গা নিয়ে বিরোধ থাকায় একাধিক বার এনিয়ে সালিশ বসেছে, সর্বশেষ আমি ও মুক্তিযোদ্ধা মংলা মিয়া উপস্থিত থেকে উভয়ের সম্মতিতে সীমানা বেড়া চিহ্নিত করে দিয়ে যাই।
আজ সকালে অরুণ দাস গং দের সন্ত্রাসী হামলায় রামীম গুরুতর আহত হলে দেখতে এসেছি, এধরণের জুলুম অত্যাচার মেনে নেওয়া যায়না। প্রশাসনকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাই।
আহত রামীম ও তার শশুর বলেন এখানে আমরা একমাত্র মুসলিম পরিবার অরুণ দাস, পৃথ্বিক দাস, বিন্দু গংরা আমাদের হাঁস, মোরগ ও ছাগল প্রায়শই (ওরা) ধরে নিয়ে যায়! আমরা তাদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত থাকি। ওরা জোরপূর্বক আমাদের রেকর্ডিয় জায়গা দখল করতে বেড়া নির্মাণ করেছে, এটার কারণ জানতে চাইলে আমাকে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মেরে রক্তাক্ত যখম করে। আমরা প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত বিচার চাই। সর্বশেষ দিরাই থানায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন