• কৃষি সংবাদ

    খাদ্যের সংকট ঠেকাতে দেশবাসীকে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

      প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০২২ , ১:৩৪:১৯ অনলাইন সংস্করণ

    খাদ্যের সংকট ঠেকাতে দেশবাসীকে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই তাগিদ দেন তিনি। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

    শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে মহামন্দা ধেয়ে আসছে তাতে বাংলাদেশে যেন খাদ্যের অভাব দেখা না যায় সেজন্য সবাইকে উৎপাদন বাড়াতে হবে। যার যা জমি আছে উৎপাদন করতে হবে, উৎপাদনে মনোযোগী হন, সাশ্রয়ী হোন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক জায়গা আছে। সরকারি অফিস, বিভিন্ন স্কুলে জায়গা আছে। বিভিন্ন জায়গায় যে যা পারেন বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করেন। উৎপাদিত পণ্য যেন নষ্ট না হয় তার যথাযথ সংরক্ষণের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। সামনে তেলজাতীয় ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।

    কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে খাদ্য নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’ এই প্রতিপাদ্যে এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়।

    অনুষ্ঠানে মতিয়া চৌধুরি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিল। জাতির পিতা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন এদেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষির উন্নয়ন করতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় তারই কন্যা এদেশের কৃষিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।

    শ ম রেজাউল করিম বলেন, কৃষিজমি ২৫-৩০ শতাংশ কমেছে, আবার জনসংখ্যা দ্বিগুণের মতো বেড়েছে। সেজন্য শেখ হাসিনার সরকারের উদ্যোগে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। বঙ্গবন্ধুর হাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সমৃদ্ধির সোপান রচিত হয়। এক সময় বলা হতো ভারত থেকে গরু না আসলে কোরবানি হতো না এসব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের মাছের উৎপাদন বিস্ময়করভাবে বেড়েছে। বিদেশে রফতানি হচ্ছে, গ্রামীণ সমাজে বেকারত্ব দূর করতে ভূমিকা রাখছে। এক যুগে চার গুণ মাছের উৎপাদন বেড়েছে, ২৭ প্রজাতির বিলুপ্ত মাছ ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।

    অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

    আরও খবর

    Sponsered content