প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪:৪৯:৪০ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পজীবনকালীন বিনাধান-১৭ এর প্রচার ও সম্প্রসারনের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সুনামগঞ্জের সহযোগিতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিশ্বম্ভরপুরের আয়োজনে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মৌয়াকুড়া মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদি উর রহিম জাদিদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা হতে ভ্যার্চুয়ালে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা)”র মহাপরিচালক কৃষিবিদ. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম,সুনামগঞ্জ বিনা উপ কেন্দ্রের উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুন নবী মজুমদার,বিশ্বম্ভরপুৃর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নয়ন মিয়া,সলুকাবদা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরে আলম(তপন) ও বিনাধান-১৭ সুনামগঞ্জের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দর রাকিব প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা)”র মহাপরিচালক কৃষিবিদ. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেছেন, বিনাদান -১৭ এর জীবনকাল ১১০-১১২দিন এবং গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬ টন ধান উৎপাদন করা সম্ভব হবে। যদি স্বল্পমেয়াদি আমন ধানের জাত চাষ করে তাহলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাবে। এতে পতিত জমি আবাদ হবে এবং কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
এজন্য স্বল্পকালীনএবং উচ্চ ফলনশীল বিনাধান-১৭ চাষ করে পরবতর্অীতে সরিষা চাষের মাধ্যমে ভোজ্যতেলের উৎাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন,দেশে ভোজ্যতেলের সংকট রয়েছে এবং আকাশচুম্বী দাম এজন্য অধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে জনগনের চাহিদা মিঠানো সম্ভব হবে। আমাদের ৯০ ভাগ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় আমরা যদি দেশে সরিষা চাষের আবাদ বৃদ্ধি করি তাহলে আমদানি নির্ভরতা কমবে।
আমরা স্বল্পকালীন আমন ধানের জাত চাষাবাদের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই সলুকাবাদ ইউনিয়নের মৌয়াকুড়া মাঠে তিন একর জমিতে বিনাধান-১৭ আবাদ করা হয়েছিল এবং আজ তা কর্তনের মাধ্যমে শেষ হলো। পরে কৃষকদের মাঝে ব্রীজ ধান বিতরণ করা হয়।