প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২:১৬:৫৯ অনলাইন সংস্করণ
মাফরোজা সিদ্দিকা বুশরা: কেবলমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে নিয়েই নয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে নিয়ে অসংখ্য গান রচনা করেছেন সুনামগঞ্জের সাংবাদিক গীতিকার বাউল শিল্পী আল–হেলাল।
কিন্তু গানগুলোর মধ্যে নি¤েœাক্ত ২টি গান সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলা ২০১৭ইং,ডিজিটাল মেলা ২০১৮ইংসহ বিভিন্ন সরকারী অনুষ্টানাদিতে প্রচার হয়েছে। আল–হেলাল সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও মহকুমা আর্টস কাউন্সিলের প্রথম সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল হাই হাছন পছন্দ এর সুযোগ্য দোহিত্র ও যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এন.এম মাহমুদুর রসুল এর জেষ্ট সন্তান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের এক যুগপূর্তি উপলক্ষে পছন্দের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তিনি তার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন প্রকাশসহ নেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য সাফল্য ও প্রশান্তি এবং দীর্ঘজীবন কামনা করেছেন।
তার পিতা এস.এন.এম মাহমুদুর রসুল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কীত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বঙ্গবন্ধু জীবদ্ধশায় সুনামগঞ্জের দিরাই থানার চন্ডিপুর নিবাসী নেজাবত আলী কে সভাপতি,আলহাজ¦ আব্দুল কদ্দুছ কে সাধারন সম্পাদক,ক্ষিতিশ নাগ,রনদা প্রসাদ রায় চৌধুরী,নিশী চৌধুরী,আব্দুর রউফ,আব্দুল আউয়াল,আলতাব উদ্দিন ও আল-হেলালের পিতা এস.এন.এম মাহমুদুর রসুল কে সর্বশেষ সদস্য করে দিরাই থানা আওয়ামীলীগের ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রথম কার্যকরী কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন।
এই কমিটির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু দিরাই থানা সফর করেন। সেদিন ছিল ১৯৭০ সালের ৭ই অক্টোবর মোতাবেক ২০ শে আশি^ন রোজ বুধবার। ঐদিন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এর শুভাগমন উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানা সদরে এক বিরাট ঐতিহাসিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টায় দিরাই চরাবাজারে থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথির ভাষন দান করেন বঙ্গবন্ধু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগের সহ–সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। দিরাই থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি চন্ডিপুর নিবাসী জনাব নেজাবত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় মৎস্য বালু পাথর ধান আর আউল বাউল ফকিরের দেশ দিরাই থানায় বঙ্গবন্ধুর শুভাগমনকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দিরাই শাল্লা জামালগঞ্জ ধর্মপাশা আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগের মনোনিত এম.এন.এ পদপ্রার্থী আব্দুস সামাদ আজাদ,সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী দিরাই শাল্লা নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগ মনোনিত এমপিএ প্রার্থী বাবু অক্ষয় কুমার দাশ,সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএনএ পদপ্রার্থী দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরী, এমপিএ পদপ্রার্থী এডভোকেট আব্দুর রইছ ও দিরাই থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কদ্দুছ প্রমুখ।
জনসভার পরে নদীতে লঞ্চের মধ্যে দলীয় কর্মীসভায় অক্ষয় কুমার দাশ এস.এন.এম মাহমুদুর রসুলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বঙ্গবন্ধুকে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং দেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,“তৈরী হয়ে যাও যুবক। প্রাণ নিয়ে প্রতিজ্ঞা করো। ছেড়ে দাও মরণের ভয়। ওরা আমাদের অধিকার দিতে চাইবেনা। নির্বাচনের পরেই একদফা আন্দোলন করতে হবে”। কথাগুলো তখনকার আওয়ামীলীগ কর্মী,উদীয়মান তরুণ যুবক এস.এন.এম মাহমুদুর রসুল ও তার সহকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন জাতির জনক কঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৪৯ বছর পূর্বের বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে গিয়ে ৭১ এ ট্যাকেরঘাট সাবসেক্টরের প্লাটুন পরবর্তীতে কোম্পানী কমান্ডার এস.এন.এম মাহমুদুর রসুল (ময়না মাস্টার) শেখ হাসিনার সরকারের একযুগ বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেন,“পাক ওয়াটার ওয়েজ নামক লঞ্চযোগে ভৈরব শেরপুর ও আজমেরীগঞ্জ অতিক্রম করে পথিমধ্যে কয়েকটি পৃথক বিশাল জনসভায় ভাষন দান শেষে সকাল ১১টায় দিরাই ডাকবাংলায় এসে পৌছান বঙ্গবন্ধু। সেখানে ভাটি বাংলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে তিনি এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন। তাঁর সফরসঙ্গীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ডন পত্রিকাসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার ১২ জন সাংবাদিকও ছিলেন। ডিসেম্বরের প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ভবিষ্যত নিয়ে স্থানীয় সকল নেতাকর্মীরা সন্দেহভাজন ছিলেন। জনাব এসএনএম মাহমুদুর রসুল ও তার বড় ভাই ভরারগাঁও নিবাসী আওয়ামীলীগের প্রবীণ সংগঠক ভাষা সৈনিক আব্দূন নূর চৌধুরী সন্ধ্যায় পাক ওয়াটার ওয়েজ লঞ্চের দুতালায় সমবেত নেতাকর্মীদের সম্মুখে বঙ্গবন্ধুর কাছে জানতে চেয়েছিলেন,আওয়ামীলীগ কয়টি আসন পাবে। বঙ্গবন্ধু স্বগর্বে বলেছিলেন,বাংলাদেশে ২২টি আসনের জন্য সন্দেহ হচ্ছে। তবে সবগুলো আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমরা জয়ী হবো। তুমুল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে।
২২টি আসনে পিডিপি ও মুসলিম লীগের প্রার্থীদেরকে যেভাবেই হউক পরাজিত করতে হবে। এজন্য আমাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে। এসমস্ত প্রার্থীদের নাম জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু ২২ জনের নাম বললেন। এরা হচ্ছে চট্রগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী,মৌলানা ফরিদ আহমদ,সুনামগঞ্জের মাহমুদ আলী,খুলনার সবুর খান,কুষ্টিয়ার শাহ আজিজুর রহমান,ফরিদপুরের ওয়াহিদুজ্জামান,আকমল ইবনে ইফসুফ,কাজী কাদের,জমীর উদ্দিন প্রধান,ঢাকার খাজা খয়ের উদ্দিন,নান্দাইলের নুরুল আমিন,বরিশালের আজিজুল হক,পীর মুসলেহ উদ্দিন,আনম ইউসুফ,আতাউর রহমান খান,্এসএম সুলায়মান,আব্দুল জব্বার খান,মশিউর রহমান যাদু মিয়া,রিয়াজ উদ্দিন ভোলা মিয়া প্রমুখ”। বাকী ৩ জনের নাম এস.এন.এম .মাহমুদুর রসুলের স্মরণ নেই। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন নৌকা ও আওয়ামীলীগের স্বপক্ষে ব্যাপক জনমত ও গণজোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন। যে জোয়ারে পাকিস্তানে পিডিপি ও মুসলিম লীগের তাবেদার স্বৈরশাসকদের মসনদ কেঁপে উঠেছিল। নির্বাচনের ফলাফলে শুধু বঙ্গবন্ধু বা আব্দুস সামাদ আজাদ বিজয়ী হননি।
প্রায় সব প্রার্থীরাই বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামীলীগ ১৬৭টি আসন লাভ করে। মুসলীম লীগ পিডিপি পায় মাত্র দুটো আসন। ১৭ ই ডিসেম্বরের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মোট ৩০০ টি আসনের মধ্যে আওয়ামীলীগ ২৮৮ টি আসন পেয়ে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্টতা লাভ করে।
ঐ সভাতেই বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানিয়ে “নৌকা আগে আগে চলেরে ঐ নৌকাটা শেখ মুজিবের”শীরোনামে একটি দেশাত্ববোধক গান গেয়েছিলেন সুনামগঞ্জের পঞ্চরত্ন বাউলের মধ্যমণি গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন)। সাংবাদিক গীতিকার আল–হেলাল সেই বিখ্যাত কবিয়াল বাউল কামাল পাশার স্মৃতি ও আদর্শকে ধারন করেই গানের জগতে পদার্পন করেছেন স্বগৌরবে।
শখের বসে গান লেখা ও গাওয়া নয় পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় তিনি একজন সহজাত শিল্পী হয়ে গড়ে উঠেছেন। সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে তার প্রতিনিয়ত। বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী যখন ইতিপূর্বে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তখন অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান এর সামনেই ২০১৬ সালে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসে বসে তাৎক্ষনিকভাবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মানবিক কর্মকান্ডকে নিয়ে সর্বপ্রথম তিনি প্রথমোক্ত গানটি রচনা করেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে গানটি পরিবেশন করে তিনি মন্ত্রী,জেলা প্রশাসনসহ উপস্থিত সকল সাংবাদিকদেরকে হতবাক করে দেন। গানের হাতে লেখা মূলকপিটি তার কাছ থেকে নেন মন্ত্রী এম.এ মান্নান এমপি। বাংলাদেশের মরমী সংস্কৃতির জগতে একটি সাড়াজাগানো নাম আল–হেলাল। প্রকাশিত নাম হচ্ছে এটি। সার্টিফিকেট নাম আল–হেলাল মোঃ ইকবাল মাহমুদ। তার পিতার নাম এস.এন.এম মাহমুদুর রসুল যিনি একজন যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও নাট্য অভিনেতা। তার মাতার নাম মরহুমা রোকেয়া বেগম চৌধুরী। তার স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভরারগাঁও গ্রাম। বর্তমানে তিনি স্বপরিবারে বসবাস করেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব সুলতানপুর আবাসিক এলাকায়। তিনি ১৯৯০ সালে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি,১৯৯২ইং সালে দিরাই কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৯৪ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকার জাতীয় আইন কলেজে অধ্যয়ন করেন। আল–হেলাল ইতিপূর্বে বাংলাভিশন টেলিভিশন,ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক খবর,দৈনিক প্রাইম,দৈনিক মুক্তকন্ঠ,দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা,দৈনিক মাতৃভূমি,দৈনিক মানবজমিন,দৈনিক প্রভাত,দৈনিক সোনার আলো,দৈনিক খবরপত্র,দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ,দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার,জাতীয় সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা,সাপ্তাহিক বর্তমান দিনকাল,সাপ্তাহিক স্বর্ণালী ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক দৈনিক যুগভেরী, দৈনিক সিলেটবানী,দৈনিক সংলাপ,দৈনিক মানচিত্র,দৈনিক জালালাবাদ,দৈনিক প্রভাতবেলা,সাপ্তাহিক পরিক্রমা,সাপ্তাহিক সময়ের ডাক,সাপ্তাহিক সিলেটের পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে,জেলা শহর সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ সংবাদ এর জেলা প্রতিনিধি,সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ বার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক আলোকিত সুনামগঞ্জ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সম্পাদক এবং সাপ্তাহিক গ্রাম বাংলার কথা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হিসেবে গড়ে তুলেন বাউল কল্যাণ পরিষদ ও বাউল কামাল পাশা স্মৃতি সংসদ নামের ২টি সাংস্কৃতিক সংগঠণ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। তিনি বিভিন্ন সময়ে সিলেট বিভাগ গণদাবী পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য,জাগো সিলেট আন্দোলন এর প্রচার সম্পাদক,সিলেটস্থ সুনামগঞ্জ জেলা উন্নয়ন সংস্থার সহ সম্পাদক,দিরাই থানা উন্নয়ন ও পৌরসভা বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক,দিরাই থানা উন্নয়ন ও ঘুষ দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক,ধর্ম ও নৈতিকতা বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক, ঘুষ দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন সুনামগঞ্জ এর দিরাই থানা আহবায়ক,দিরাই প্রেসক্লাবের আহবায়ক,দিরাই–শাল্লা সাংবাদিক পরিষদ এর সভাপতি, মফস্বল সাংবাদিক সংগ্রাম পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক,সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সহ–সভাপতি, সিলেট বিভাগ মফস্বল সাংবাদিক সংগ্রাম পরিষদ এর আহবায়ক,বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কার্যকরী সদস্য,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি,কালনী বেতার স্রোতা ক্লাব এর সভাপতি,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও জেলা গীতিকার ফোরাম এর সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ–সভাপতি, বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ সুনামগঞ্জ এর সাধারন সম্পাদক,কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ শাখার নির্বাহী সদস্য এবং সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে অধিষ্টিত রয়েছেন। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস এর জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক খবরপত্র পত্রিকা,বাংলাদেশ সমাচার,দৈনিক খবর,ইংরেজী দৈনিক আওয়ার টাইমস ও অনলাইন ওয়েবপোর্টাল বিডিটুডেস এর সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি কোয়ান্টাম ল্যাব শান্তিনগর ঢাকার আজীবন রক্তদাতা ও বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্ত্রের তালিকাভূক্ত একজন পল্লীগীতি শিল্পী। তার সম্পাদনায় সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে সাপ্তাহিক মুক্তির সনদ ও সাপ্তাহিক হীরামন মানিকের দেশে নামে আরো দুটি পত্রিকা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে ২০০৮ সালে ১০১টি গান নিয়ে তিনি প্রকাশ করেন “গানের সম্রাট কামাল উদ্দিন”নামে একখানা গীতিগ্রন্থ। পরবর্তীতে “শ্রেষ্ট পার্লামেন্টেরিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত”,“রাজনীতির রবার্ট ব্রুস মতিউর রহমান”,“ভোটযুদ্ধে মমতাজ ইকবাল” ও “মডেল মানুষ মমিনুল মউজদীন” ও সুনামগঞ্জের সোনার মানুষ মুহাম্মদ আব্দুল হাই”সহ আরো অনেক জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ ও সম্পাদনা করেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশার শত শত গান নিয়ে পত্রিকা সম্পাদনা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেন তিনি। একজন গীতিকার হিসেবে তিনি রচনা করেছেন প্রায় শতাধিক গান। আল–হেলাল ২০১৪ ইং সনের ৩রা জুন সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা এলাকার সদরপুর নামক স্থানে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। একজন পেশাদার সাংবাদিক ও বাউল শিল্পী হিসেবে জেলার সকল সংসদ সদস্যগনের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাউল শিল্পীর স্বীকৃতিসহ আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
আল–হেলাল বলেন,জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের শেষ নেই। তিনি একাধিকবার আর্থিক অনুদান দিয়ে আমাকে চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এজন্য আমি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এ ঋন কখনও শোধ হওয়ার নয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের এক যুগ পূর্তিতে সার্বিক সফলতা কামনা করি। সুস্বাস্থ্য সাফল্য ও প্রশান্তিতে ভরে উঠুক শেখ হাসিনার জীবন এই প্রত্যাশা করি।
(শেখ হাসিনার প্রশংসায় গান–১)
মাদার অব হিউম্যিনিটি বাঙ্গালীদের খাটিসোনা
শান্তির দূত বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা
জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেন,মানবতার রেকর্ড গড়লেন
জাতিসঙ্গে ভাষণ দিলেন, করলেন কত আলোচনা।।
শান্তির দূত বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা শুনরে।।
ছিলেন একদিন শরনার্থী,কেঁদে পোহান দিবারাত্রি
রোহিঙ্গাদের করুন আর্তি,প্রাণেতো আর বাঁচিনা।।
শান্তির দূত বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা শুনরে।।
যুদ্ধ নয় শান্তির পক্ষে,আওয়াজ তোলেন একবাক্যে
তোলেন আওয়াজ একবাক্যে,যুদ্ধ নয় শান্তির পক্ষে
মানবতা রক্ষার লক্ষ্যে,সইলেন কত লাঞ্চনা।।
শান্তির দূত বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা শুনরে।।
বাউল কামাল বলে প্রেমিক ছাড়া,মানেনা প্রেমেরী দ্বারা
প্রেম করছে যারা জানে তারা,অপ্রেমিকে বুঝেনা।
শান্তির দূত বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা শুনরে।।
বাউল আল–হেলালের এই নিবেদন,নেত্রীকে করো সমর্থন
নির্দনিয়ার আশারী ধন,ভরসা মনে সান্তনা…।
শান্তির দূত বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা শুনরে।।
জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা বলিরে
ওয়াজেদ মিয়ার সহধর্মিনী শেখ হাসিনা মনরে
সজিব ওয়াজেদের মাতা শেখ হাসিনা দেখরে
শেখ রাসেলের হাসু আপা শেখ হাসিনা…।।
(প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শানে গান–২)
শুনেন সবে ধৈর্য্য ধরি,বলিতেছি প্রকাশ করি
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
৯ মাসের যুদ্ধ হলো,৩০ লক্ষ মানুষ মরিলো
মা বোনের ইজ্জত গেলো পরাধীন বাংলায়।
৭ই মার্চের শুনে ভাষণ,যুদ্ধ করলো মুক্তি ভাইগন
পাঞ্জাবীদের আত্মসমর্পণ,রাজধানী ঢাকায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
যুদ্ধের পরে হলাম স্বাধীন,সরে গেল পরাধীন
শত্রæরা ঘটায় দুর্দিন,স্বাধীন এই বাংলায়।
হত্যা করলো জাতির জনক,পরিস্থিতি হয় ভয়ানক
৪ নেতাও মারলো ঘাতক,স্তম্ভিত সবায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
তারপরে কি হইলো,সামরিক স্বৈরাচার আসলো
মোশতাক জিয়া এরশাদ বসলো,শাসন ক্ষমতায়
গনতন্ত্রের লেবাস পড়ে,বাংলাভাইরা শাসন করে
শত শত মানুষ মারে গ্রেনেড আর বোমায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
১২ জুনের নির্বাচন,শুরু হলো সুশাসন
নজিরবিহীন উন্নয়ন শেখ হাসিনায়।
মুক্তি ভাইদের দিলেন ভাতা,আরো পায় বৃদ্ধ ভনিতা
বিধবায় পায় সহায়তা,দেয় সমাজসেবায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী,সাংবাদিকরাও ভাতাভোগী
উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি,দেখি সব জায়গায়।
সংস্কৃতি বান্ধব সরকার,বারবার থাকা দরকার
বলছেন এম.এ মান্নান স্যার,উন্নয়ন সভায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
মৎস্য বালু পাথর আর ধান,সুনামগঞ্জের মরমী গান
মিলবে সম্পদ করলে সন্ধান,হাওর এলাকায়।
১ লক্ষ ৬৮ হাজার,ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবার
ভিজিএফ পাচ্ছে বারেবার,সরকারের সেবায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
৩ লক্ষ কৃষি পরিবার,পরিমাণে ৬০ কোটি টাকার
কৃষিতে ভর্তুকী দরকার,সার বীজের আওতায়।
বিনামূল্যে সরবরাহ,উন্নয়ন হয় অহরহ
বাদ পড়েনি কভূ কেহ,প্রশাসন জানায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
এবার বোর ফসল রক্ষার তরে,হাজার ৯৬ পিআইসি গড়ে
শত কোটি বরাদ্দ ধরে,বাঁধ রক্ষার দায়।
দায়িত্বে সাবিরুল ইসলাম,পাউবো সূত্রে জেনে নিলাম
বাম্পার ফলন আশা রাখলাম,ভরসা আল্লায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
ঘুষ দুর্নীতির উর্ধে উঠে,সুশাসন গড়িলেন বটে
প্রমাণ পাই হাটেমাটে,সবার প্রশংসায়।
শিক্ষা স্বাস্থ্য স্যানিটেশন,রাস্তাঘাট আর বিদ্যুতায়ণ
সুশাসন আর উন্নয়ন,আল–হেলালে গায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
বলে গেছেন বাউল কামাল,সুখে দু:খে থেকো বহাল
দেশ জাতি হলো ডিজিটাল পূরল অভিপ্রায়।
রপকল্প ২০১১,দারিদ্র্র্যমুক্ত দেশ গড়
লক্ষ সবে স্থির করো এ বিশ^ সভায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার,ওয়েব পোর্টাল ২৫ হাজার
প্রযুক্তির সুব্যবহার,হয় সকল জায়গায়।
১৩ কোটি মোবাইল গ্রাহক,পুরাইতেছে মনেরী শখ
দেখে সবে হয় আচানক,৩জিরও আওতায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
ইপেমেন্ট আর মোবাইল ব্যাংকিং,স্মার্টফোনেও নেটওয়ার্কিং
ইন্টারনেটে চলছে ওয়ার্কিং সাগরের তলায়।
আকাশ পাতাল মনলোভা,সবখানে ডিজিটাল সেবা
জমছে মেলা মারহাবা,সুনামগঞ্জ জেলায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
বর্তমানে আব্দুল আহাদ,তাতে নাই কোন বিবাদ
পূরবে সবার মনেরী স্বাদ,সুনামগঞ্জ জেলায়।
ডিসি হলেন মনের মতো,কাজ করতেছেন শত শত
প্রশংসা বলিবো কত, এ ভদ্র সভায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
এডিসি নুরুজ্জামান,সেবায় আছেন সমান সমান
কি দিব তার প্রতিদান,উন্নয়ন মেলায়।
৮১টি স্টল বসিলো,সকল বিভাগ এক হইলো
চতুর্থ বার সফল হইলো,সুনামগঞ্জ জেলায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান,প্রথমবারে দেখে যান
এমপি মিসবাহ পেলেন প্রমাণ,বাস্তবেও দেখা যায়।
সব ব্যর্থতা দূর হইলো,উন্নয়নের প্রসার ঘটলো
সবার স্মৃতি মনে রইলো,হৃদয়ের আয়নায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
ফেইসবুক আর টুইটার,করো সবে সৎ ব্যবহার
করনা মন অপপ্রচার,সাইবার আইনে পায়।
বাংলার মানুষ ঐক্য গড়, ভিশন ৪১ বাস্তবায়ন করো
ডিজিটাল এক বাংলা গড়,আল–হেলালে গায়।।
সোনার বাংলা গড়লেন,নেত্রী শেখ হাসিনায়।।
১ম রচনাকাল : ১১/০২/২০১৮ইং, ২য় দফায় ৪/১০/২০১৮ইং
গীতিকার : সাংবাদিক বাউল আল–হেলাল
প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক : বাউল কামাল পাশা স্মৃতি সংসদ,সুনামগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৭১৬–২৬৩০৪৮
(হাসিনা সরকারের প্রশংসায় গান নং–৩)
যে ঘর বানাইয়া দিলায়,দেখতে চমৎকার
লোকে বলে,বলেরে ঠাই দিয়াছে হাসিনা সরকার।।
একজন নয় দুজন নয়,হাজারে হাজার
মনের মত ঠাই পেয়েছে,মাথা গুজিবার।।
যার লাগিয়া বঙ্গবন্ধু গড়লেন সোনার বাংলা
অন্ধকার কবরের ভিতর ভালো রাইখো আল্লাহ।।
খাদ্য পাবে,আশ্রয় পাবে,আরো পাবে শিক্ষা
এর লাগিয়া শেখ হাসিনায় দিলেন দালান পাক্কা।।
হাছন রাজা,কামাল পাশায়,গাইলেন প্রেমের গান
আল–হেলালে মুক্তির গানে,করে জীবন দান।।
(পদ্মা সেতু নিয়ে গান : ৪)
দলে দলে আয়রে সবে দেখবে যদি আয়
পদ্মা সেতু গড়লেন নেত্রী,শেখ হাসিনায়।।
স্মরণকালের বৃহৎ সেতু,হাত লাগাতে হননি ভীতু
গত হলো ২৪ ঋতু, যাহার উচিলায় ।।
জিডিপির হার বৃদ্ধি পাবে,৩ কোটি লোক সেবা নিবে
উন্নয়নে বদলে যাবে,দক্ষিণ পশ্চিমায়।।
সোনার বাংলার মূল গল্প,একটা চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প
৪১ এর রুপকল্প,সঠিক নিশানায়।।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,বিকল্প আর নাই যাহাদের,
কিনারা ভিড়াইলেন মোদের,সঠিক ঠিকানায়।।
নেত্রী হইয়া যা দেখাইলা,বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু গড়লা
বাস্তবেও প্রমাণ দিলা,আল–হেলাল জানায়।।
রচনাকাল : ০৯ জুন ২০২২ইং
সুনামগঞ্জ।
তাং : ২৭/৯/২০২২ইং
মোবাইল : অনুরোধ ০১৭১৬–২৬৩০৪৮