প্রতিনিধি ১৬ আগস্ট ২০২২ , ৮:৩৪:৫০ অনলাইন সংস্করণ
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরে ডিমের মূল্য আকাশচুম্বী। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালি হাফ-সেঞ্চুরি অতিক্রম করেছে। এবার অভাব দেখা দিবে পুষ্টির।
জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তারই সাথে পাল্লা দিয়ে ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে ডিম ক্রয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। আজ ১৭ ই আগষ্ট রোজ মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে জানাযায়, জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার, মীরপুর বাজার, কেইনবাড়ী বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার, চিলাউড়া বসজার ও কলকলিয়া বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালি হাফ-সেঞ্চুরি অতিক্রম করে ফার্মের হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৬০ টাকা ও মোরগ এর ডিম প্রতি হালি ৬৫ টাকা এবং দেশী অর্থাৎ বাড়ীওয়ালা হাসের ডিম প্রতি হালি ৬৫ আর মোরগীর ডিম ৭০/৭৫ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে এক সপ্তাহ আগেও অত্র উপজেলার সবকটি হাট-বাজারে ফার্মের হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৫৫ টাকা ও মোরগ এর ডিম প্রতি হালি ৬০ টাকা এবং দেশী অর্থাৎ বাড়ীওয়ালা হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৬০ আর মোরগীর ডিম ৬৫ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে বলে একান্ত আলাপকালে একাধিক ক্রেতা বিক্রেতা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, খামার থেকেই বেশী দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। সামনে দাম কমার সম্ভাবনাও নেই।
যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। সামনে দাম কমার সম্ভাবনাও নেই। খামার থেকে যে দামে ক্রয় করেছি তার থেকে অল্প কিছু লাভে ডিম বিক্রি করছি।
ক্রেতারা বলেন, বাজারে ডিমের মূল্য অধিক নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সিদ্ধান্ত নিয়েছি দাম না কমা পর্যন্ত ডিম ক্রয় করবনা। আমাদের মতো নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের বাঁচা কঠিন হয়ে পড়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শনুযায়ী ডিম হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার। কি আর করা অধিক মূল্যের জন্য ডিম কিনতে পারবনা। পুষ্টিগুন থেকে বঞ্চিত হবে শিশুরা।