প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২২ , ৩:২১:৪৮ অনলাইন সংস্করণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাথে একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন, যা পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে বড় আকারে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এটি হবে যেকোনো দেশের সাথে ঢাকার প্রথম বাণিজ্য চুক্তি। এতে চীন ও জাপানের মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি করার অনুরোধ সত্ত্বেও ভারতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস।
এদিকে জাপান এবং চীনের সাথে চুক্তিগুলো এখনও মূল্যায়ন পর্যায়ে রয়েছে। ৬-৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত ভারত সফরের সময় সিইপিএ আলোচ্যসূচিতে স্থান পাবে। প্রস্তাবিত চুক্তির ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১৯০% এবং ভারতের ১৮৮% বৃদ্ধি পাবে এবং মোট দেশজ উৎপাদন যথাক্রমে ১.৭২% এবং ০.০৩% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ঢাকা-দিল্লি যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয়েছে।
সিইপিএ পণ্য ও পরিষেবা, বিনিয়োগ, মেধা সম্পত্তি অধিকার এবং ই-কমার্স প্রভৃতি এই বাণিজ্য চুক্তির অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গত অর্থবছরে প্রথমবারের মতো
ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ভারত থেকে আমদানি মোট ১৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য এলাকা চুক্তির অধীনে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ভারতে তামাক ও অ্যালকোহলসহ ২৫টি পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত সুবিধা ভোগ করেছে।
২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিইপিএ স্বাক্ষর সংক্রান্ত যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা জারি করেছিলেন। সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশের ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট এবং ভারতের সেন্টার ফর রিজিওনাল ট্রেড বিশদ যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করে। চলতি বছরের মে মাসে তারা সমীক্ষা প্রতিবেদন নিজ নিজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। তাতে প্রতিবেদনে সিইপিএ স্বাক্ষরের জন্য আলোচনা শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার চূড়ান্ত খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একবার বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, পরবর্তী ৭-১০ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩-৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভারতের ৪-১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পাবে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এটি উভয় দেশের জন্য নতুন বিনিয়োগের রাস্ত খুলবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।