প্রতিনিধি ৩ জুলাই ২০২২ , ৩:২৮:১৪ অনলাইন সংস্করণ
সৈকতুল ইসলাম শওকতঃ নোমান বখত পলিন: সুনামগঞ্জে বানভাসি মানুষের বিপদে নিবেদিত এক জনদরদী নেতা. স্মরণকালের এ বন্যায় প্রাকৃতিক সম্পদের অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলা ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া ও জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সুনামগঞ্জ জেলা সারা দেশে বন্যা কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত জেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৬ জুন থেকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙ্গে জেলার ৯০ ভাগ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিলেট বিভাগ জুড়ে এবার বন্যা ২০০৪ সালের রেকর্ডভঙ্গ করেছে। বন্যাকবলিত সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের দুঃখ ,দূর্দশার অন্ত নেই।সুনামগঞ্জবাসী এই চরম দুর্ভোগ ও দুর্দিনে হাতের কাছে পেয়েছে এমন একজন প্রকৃত জনদরদী নেতা যার কথা না বললেই নয়। সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের এই সৌভাগ্যর বরপুত্র হলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নোমান বখ্ত পলিন। বানভাসি মানুষের বিপদে সাথী হতে অবিরাম ছুটে চলা একজন প্রকৃত জনদরদী নেতার প্রতিকৃতি তিনি। বন্যা কিংবা ঝড়সহ সুনামগঞ্জের প্রতিটি দূর্যোগে তার পরিবারের উত্তরসূরীদের মতো তিনিও এই বন্যায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিরন্তর প্রচেষ্টায় ছুটে চলছেন। সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের জন্য আর্শীবাদ হিসেবে দেখা দিয়েছেন এই মানবিক নেতা যিনি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। বক্তৃতায় নয় কাজের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আরপিননগর, সোমপাড়া, রায়পাড়া, মোক্তারপাড়া, নতুনপাড়া, বিলপাড়া, নবীনগর, ষোলঘর, হাছননগর, সুলতানপুরসহ শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ হাজার পরিবারের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ভাষা সৈনিক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যিনি তার তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি যুদ্ধ করেন প্রয়াত হোসেন বখতের ছেলে নোমান বখত পলিন । তাঁর প্রয়াত দুই ভাই সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। নাদের বখত রয়েছেন বর্তমান মেয়রের দায়িত্বে। নোমান বখত পলিন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । বড় ভাই পৌর চেয়ারম্যান মনোয়ার বখন নেক আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়ে মারা যান যিনি শহরের গরিব দুঃখী মানুষের পরম বন্ধু ছিলেন । অপর প্রয়াত ভাই আয়ুব বখ্ত জগলুল সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার দুই বারের জননন্দিত মেয়র ছিলেন। জগলুলের ছিলো সুনামগঞ্জে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা যার সততা ছিল প্রশ্নাতীত। সুনামগঞ্জের এই দুর্যোগে দেশের বর্তমান অপরাজনীতি ও ফরমালিন নেতাদের ভীড়ে প্রকৃত খাঁটি জননেতার পরিচয় দিচ্ছেন নোমান বখ্ত পলিন । ১৭ জুন বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে পাহাড়ি ঢলের বিশাল জলরাশি উপেক্ষা করে ছুটে চলেছেন সুনামগঞ্জ শহরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায়। মানুষের দুঃখ দূর্দশা লাঘবের জন্য হাটু পানি, মাঝা বা কোমড় সমান পানি ভেঙ্গে ছুটে চলেছেন একজন মানবিক নেতা। নিরন্তর ছুটে চলেছেন মানুষের জন্য খাবার নিয়ে আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে অসুস্থদের জন্য ওষুধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে । বন্যা কবলিত মানুষের জন্য যা যা করণীয় তার সবই করেছেন তিনি । বন্যা শুরুর পর থেকে যেভাবে সাপ পোকা মাকড়ের ভয় না করে বন্যার পানিতে নেমে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন তা দেখে সত্যিই অবাক হওয়ার মতো । এতোটুকু বুঝলাম .ফটোসেশন ,মিডিয়া কাভারেজ বা লোক দেখানোর জন্য তিনি এসব করেননি । যতটুকু করছেন তা তাইনের পরিবারের উত্তরসূরীদের রক্তের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে। একজন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে তিনি যা করেন বা করছেন তা দেখে অনেক রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নেয়া উচিত। বন্যার পানিতে নেমে হাটু পানি,কোমড় পানি ঠেলে ভেজা কাপড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বন্যাদূর্গতদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন তিনি যার ক্লান্তি বলে কোন জিনিস নাই । অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এলাকার মানুষকে একটু ভালো রাখার জন্য। আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবক টিম। যারা জেলাবাসীর সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষ প্রকৃত নেতার সেবা চাই । আর যে জনগণের প্রকৃত সেবা করে সেই তো জনসেবক যার উদাহরণ নোমান বখ্ত পলিন ।
লেখক : সৈকতুল ইসলাম শওকত সাংস্কৃতিক ও শিশু সংগঠক সুনামগঞ্জ, ১ জুলাই ২০২২ইং