প্রতিনিধি ১ জুন ২০২২ , ১:৪৩:৪২ অনলাইন সংস্করণ
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ পারিবারিক কলহের জেরে ৯ মাস বয়সী শিশুকে আটকে রেখে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শেফালীকে জোর করে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছিলেন স্বামী সাঈদুর। আদালতের নির্দেশে ১৩ দিন পর জগন্নাথপুরে মায়ের কোলে ফিরেছে এই শিশু।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, বিগত প্রায় দুই বছর আগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ছোটভাকৈর গ্রাম নিবাসী মোঃ আবু মিয়ার ছেলে মোঃ সাঈদুর রহমান এর সাথে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কাতিয়া অলইতলি গ্রাম নিবাসী মোঃ ছোবা মিয়ার মেয়ে শেফালী বেগম এর বিয়ে হয়। দুই বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের সামিউল রহমান নামক ৯ মাস বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে শেফালী বেগম তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পারিবারিক কলহের জেরে বিগত ১৭ ই মে শিশু সামিউল রহমান (বয়স ৯ মাস)কে রেখে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শেফালী বেগমকে মারপিট করে জোর পূর্বক বাবার বাড়ী জগন্নাথপুরে পাঠিয়ে দেন স্বামী সাঈদুর রহমান। শিশু সন্তানকে কাছে পেতে স্বামী সাঈদুর রহমান এর নিকট অনেক লোকজন পাঠিয়ে কাকুতি- মিনতি করেও সন্তানকে না পেয়ে সুনামগঞ্জ পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন শেফালী বেগম। পরে আদালতের নির্দেশে বিগত ২৯ শে মে দিবাগত রাতে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ পিতা সাঈদুর রহমান এর নিকট হতে এই শিশুকে উদ্ধার করে জগন্নাথপুরে মা শেফালী বেগম এর কোলে তুলে দিয়েছেন। এতে কান্না থামল শিশুটির হাসি ফুটলো মায়ের মূখে। এব্যাপারে শেফালী বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে আমার স্বামী ও তার পরিবারে লোকজন আমাকে প্রায়ই মারপিট করে। আমি তা নিরবে সহ্য করে আসছি। বিগত ১৭ ই মে আমাকে মারপিট করে আমার বুকের ধন ৯ মাস বয়সী শিশু ছেলেকে রেখে জোর পূর্বক আমাকে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দেন। আমার শিশুকে পাওয়ার জন্য আমি নিরুপায় হয়ে সুনামগঞ্জ পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালতের নির্দেশে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ গত ২৯ শে মে রাতে আমার বুকের ধনকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এবিষয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই শামীম আল-মামুন জানান, শিশুটি মায়ের দুধের জন্য কাঁদছিল। আর মা শিশুটির জন্য পাগলের মতো ছুটছিল। আদালত এর নির্দেশে শিশুটিকে তার বাবার বাড়ী থেকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছি।