• ক‌্যাম্পাস

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভসহ ২ দিনের কর্মসূচির ডাক ছাত্রদলের

      প্রতিনিধি ২৫ মে ২০২২ , ১২:১৭:৪৮ অনলাইন সংস্করণ

    নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভসহ ২ দিনের কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

    আগামী ২৬ মে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ( কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) ও ২৭ মে সারা দেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশের করবে সংগঠনটি।

    মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।

    সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৮০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

    তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। হকিস্টিক, রড, রামদা, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ছাত্রদলের কমপক্ষে ৮০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।জুয়েল আরো বলেন, ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা আলম, রেহেনা আক্তার শিরীন, শানজিদা ইয়াসমিন তুলি, সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, তন্বী মল্লিক এই হামলা থেকে রেহাই পাননি। তাদেরকেও সড়কে ফেলে পেটানো হয়েছে। দুজন ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে নির্যাতন করেছে তারা। এ ছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের হয়রানি করছে ছাত্রলীগের কর্মীরা।

    আহত নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক আকতার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম সোহেল, শাজাহান শাওন, সজীব মজুমদার, এবিএম এজাজুল কবির রুয়েল, আবু সুফিয়ান, হাসান আল আরিফ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফ প্রধান, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য মওদুদ হোসাইন, নাহিদুজ্জামান শিপন। এছাড়াও বিভিন্ন হলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তারেক মামুন, শরীফুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল, ওমর ফারুক মামুন, মাহফুজুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, আরিফ হাসান, সেজান মাহমুদ, সাইফ খান, সাখাওয়াত হোসেন সোহান, ওমর সানী, ইব্ররাহিম কাদরী, সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, সজিব বিশ্বাস, মোল্লা টিপু, মেজবাহ, জেমিন, হাসিব চৌধুরী, মুন্না, মোস্তাফিজুর রহমান, কাওসার মল্লিক, মোহাগ শিকদার, আল আমিন খান, জয়নাল আবেদিন সবুজ, কামরুল ইসলাম কানন, এস এম ইমরান মীর, আবু হুরায়রা, জুয়েল, মাসুদ, আল আমিন বাবলু, শরীফুল ইসলাম শুভ, বাপ্পী, রুহুল আমিন, সেলিম, মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, রাসেল বাবু, সাজেদুর রহমান সাগর বাবু, মো. জুয়েল, লুৎফর রহমান বাবার, হোসেন আলী, রাশেদ, রিয়াদ খান, মেহেদী হাসান, আক্তার হোসেন ফরাজী, সৈয়দ তালুকদার, সামসুদ্দীন, মৃনাল কান্তি সুজন, সুমন সরকার, সাগর আহম্মেদ বাবু, আউয়াল আহমেদ আদিল, মঈন খান, ইসমাইন মোল্লাসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেই এই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে কোনো সৌজন্যতা শেখাননি। শিক্ষাঙ্গনগুলোকে এই সরকার বিশৃঙ্খলায় ভরিয়ে রাখতে চায়, যাতে ছাত্রসমাজ কথা বলতে না পারে।
    সচেতন ছাত্র সমাজকে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান ছাত্রদলের এই নেতা।

    আরও খবর

    Sponsered content