প্রতিনিধি ১ মে ২০২২ , ১০:১১:৩৮ অনলাইন সংস্করণ
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরে ঈদের বাজারে কাঁচা-বাদাম ও পুষ্পার কদর বেশী। জগন্নাথপুরে প্রায় শেষ মুহুর্তে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। সকাল থেকে রাত অব্দি পুরুষ -মহিলারা শিশু -কিশোরদের সাথে বিপনীন বিতান গুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পছন্দ হলেই ঈদ সামগ্রী ক্রয় করছেন। যদিও এবার পণ্যের মূল্য বেশী। ক্রেতা সাধারণ এর উপস্থিতিতে বিক্রেতারা ভীষন খুশী। আজ ১ লা মে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার, কলকলিয়া বাজার, চিলাউড়া বাজার, মীরপুর বাজার, সিরামসী বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার ও রানীগঞ্জ বাজার সহ উপজেলার সবকটি ছোট-বড় হাট- বাজার গুলোর বিপণী বিতানে পুরুষ – মহিলারা শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে ঈদের জামাকাপড় ও ইমেটিশন সামগ্রী দেখছেন পছন্দের জামাকাপড় ও ইমেটিশন দর-দাম করে ক্রয় করছেন। বাজার গুলোতে জনসাধারণের উপচে পড়া ভীর চোখে পড়ার মতো। বিগত ২/৩ দিন ধরে সকাল থেকে রাত প্রায় ১০ টা পর্যন্ত দোকান গুলোতে ক্রয়- বিক্রয় হচ্ছে বলে একাধিক বিক্রেতা জানিয়েছেন। মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস এর কারনে বিগত দুই বছর বাজারে জনসমাগম কম ছিল। ঈদের বাজার দুরে থাক মানুষ ছিলেন ঘরবন্দী। কিন্তু এবারের ঈদের বাজার জমজমাট । ঈদের বাজার করতে আসা হালিমা, আয়েশা, সুজন ও রিফাত সহ একাধিক ক্রেতা একান্ত আলাপকালে বলেন, করোনার কারনে বিগত দুটি বছর ঈদের বাজার করা হয়নি। ঘুরেফিরে ঈদের কেনা -কাটা করেছি। খুব ভাল লাগছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর পোশাক এর মৃল্য দিগুণ হলেও পরিবারের জন্যও ঈদ সামগ্রী ক্রয় করতে পারছি কি যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করে শেষ করার মতো নয়। জগন্নাথপুর উপজেলা সদর বাজারের অন্যতম বিপণী বিতান আসল ঝলক এর মালিক শ্যামল কান্তি গোপ ও কলকলিয়া বাজারস্থ আল- জান্নাত ফ্যাশন এন্ড সুজ এর পরিচালক হুমায়ুন কবির সহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, একবারের ঈদে তরুণ তরুনীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কাঁচা বাদাম, পুষ্পা ও কালাঞ্জি সহ দেশ-বিদেশী পায়জামা -পাঞ্জাবি ও লেহেঙ্গা জাতীয় পোষাক। তাই এসব বাহারী পোশাক ক্রয়ে তরুণ -তরুণীদে মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে আরো জানাযায়, ব্যবসা -বানিজ্য ভালোই চলছে। সকাল থেকে রাত প্রায় ১০ টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীড় থাকে দোকানে।