• অনিয়ম / দুর্নীতি

    আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে ড্রামের টাকা আত্মসাত এর অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২২ , ৩:০৯:৪১ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে ড্রামের টাকা আত্মসাত এর অভিযোগ দায়ের। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার খাদ্য অফিস হইতে গত ২রা ফেব্রæয়ারী ২০২২ইং তারিখে এবং ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং তারিখে খাদ্য অফিসের ফুড অফিসার আব্দুর রব ও কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী ও গুদাম রক্ষক নিরেন তাদের উপস্থিতে ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ূব খান মাষ্টার রোল বহিতে স্বাক্ষর করে সুবিধা ভোগীদের নামে বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১নং হইতে ৭০১ নং পর্যন্ত সর্বমোট ৭০১টি ড্রাম উত্তোলন করে তালিকা ভোগীদের মধ্যে কিছু বিতরণ করলে ও ৩নং ওয়ার্ডের ৮০টিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় দুই শতাধিক ড্রাম না দিয়ে তিনি ড্রাম নিজেই বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের আপন চাচাতো ভাই মো. শফিকুর রহমান খান বাদি হয়ে গত ৫ এপ্রিল দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান মো. আইয়ূব খানসহ অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা দূর্নীতি দমন কমিশনের সচিব,সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আলাদা আলাদাভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং অভিযোগের অনুলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,একজন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আইয়ূব খান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই সরকারের বরাদ্দকৃত তার ইউনিয়নের ৭০১ জন সুবিধাভোগী হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির মধ্যে কিছু বিতরণ করলেও ৩নং ওয়ার্ডের উপকারভোগী ৮০জন ছাড়াও অন্য ওয়ার্ডে মোট দুই শতাধিক ড্রাম বিতরণ করেননি। বরং বরাদ্দকৃত প্রতিটি ড্রামের মূল্য ৪০০টাকা করে মোট ৭০১টি ড্রামের মূল্য ২,৮০,০০০/-(দুইলক্ষ আশি আশি হাজার) টাকার মধ্যে অধিকাংশ টাকাই আত্মসাৎ করেছেন। ফলে চেয়ারম্যানের এমন দূর্নীতিতে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় এবং তারা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। অপরদিকে আশারকান্দি ইউনিয়নের মিলিক(দাওরাই) গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম খানের ছেলে মো. শফিকুল রহমান খান নিজে বাদি হয়ে ইউনিয়নের জামারগাঁও মৌজার তপশীল বর্ণিত জে এল নং-২২৫, ১৫১০/২৬৭৯/৩২৪০ ও ৩৫১০ দাগের ১১.৫০ একর নির্ধারন করে এই হালুখালী জলমহালটি বন্দোবস্ত দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে এই জলমহালটি ৩০ একরের উধের্ব। কিন্ত চেয়ারম্যান আইয়ূব খান কৃর্তক সরকারের রাজস্ব না দিয়ে অবৈধভাবে ভোগদখলের কারণে তার বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার,জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আলাদাভাবে আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় চেয়ারম্যান আইয়ূব খানসহ তার সহযোগিরা প্রায় ৩০ একরের উপরে এই হালুখালী জলমহালটি প্রায় ২০বছর যাবত অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছেন। ফলে সরকারের রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে প্রতিবছর ২কোটি টাকায় জলমহালটি ফিসিং করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। রহস্যজনক কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছেনা বলে দাবী অভিযোগকারীদের। আর এসব বিষয়ে চেয়ারম্যানের আপন চাচাতো ভাই মো: শফিকুর রহমান খান প্রতিবাদ করায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় চেয়ারম্যানের লোকজন। এছাড়াও ঐ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেক দূর্নীতির আরও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায় । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সঠিক প্রদক্ষেপ নিবেন এমনটি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন ভোক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মো. শফিকুর রহমান খান জানান,এই ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ূব খান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গরীব ও অসহায় জনগনের জন্য বরাদ্দকৃত ড্রামগুলো জনগনের মধ্যে বিতরণ না করেই তিনি তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করে জনগনের সাথে প্রতারণা করেছেন। তিনি এই দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ূব খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ড্রাম আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন । তিনি বলেন বিরোধীপক্ষরা তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতেই একের পর এক এমন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাজিদুর রহমান জানান জল মহাল সম্পর্কে আমার জানা নেই তবে ড্রাম্পের ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাকে আমার সাথে দেখা করার জন্য বলবেন বিষটি আমি জেনে ব্যবস্থা গ্রহন করব। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content