প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২২ , ৯:৫০:৪৪ অনলাইন সংস্করণ
শফিকুল ইসলাম স্বাধীন বিশেষ প্রতিনিধিঃ হাওরের ফসল রক্ষায় তাহিরপুরে নদ-নদীতে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সুনামগঞ্জ জেলার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির পানিতে তাহিরপুর উপজেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরের ফসল রক্ষার ডুবন্ত বাঁধসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যাদুকাটা, পাটলাই, বৌলাইসহ সকল নদীতে মালবাহী নৌকা চলাচলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে এ নির্দেশনা প্রদান করেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর। এছাড়াও বড়ছড়া, বাগলী, কলাগাঁও শুল্ক স্টেশন এবং ফাজিলপুর (যাদুকাটা ১ ও ২ বালুমহাল) হতে কোন মালবাহী নৌযান যাতে ছেড়ে না যায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। এর আগে সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাওর রক্ষাবাঁধ সহ বিভিন্ন দুর্যোগ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা ও জেলায় দ্রুত সংবাদ প্রদানের লক্ষে ৫ সদস্যের কন্ট্রোল রুম গঠন পূ্র্বক যে কোন সমস্যায় কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা হলেন- তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর, মোবাইল নং-০১৭৩০৩৩১১০৯, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ-দৌলা, মোবাইল নং- ০১৭১৭৩১৮৫৭২, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার ইমরান হোসেন, মোবাইল নং- ০১৭১৭২৪৭৪০১, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী মাসুদুর রহমান, মোবাইল নং-০১৮৪৯৮৯৮৪১৪, পানি উন্নয়ন বোর্ড তাহিরপুর শাখা কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান সেলিম, মোবাইল নং-০১৭১৮ ৬৬১৫৩৪। এই দিন সন্ধ্যায় পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে জরুরী বিজ্ঞপ্তি দেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ আগামী ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য যে, গত শনিবার টাঙ্গুয়া হাওরের নজরখালী বাঁধ ভেঙ্গে ৩ হাজার একর জামির ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।