প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২২ , ৮:০৪:০৩ অনলাইন সংস্করণ
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুর এর পল্লীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণকারী সাহিক মিয়া(৩২) গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান এর দাবীতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৮৪ নং বড়ফেছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণকারী সাহিন মিয়া(৩২(কে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য ৮৪ নং বড়ফেছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে ১০ ই এপ্রিল রোজ রবিবার বেলা ১ ঘটিকার সময় স্থানীয় বড়ফেছি বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে ও জগন্নাথপুর উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী পরিষদ এর সদস্য- মোঃ খলিলুর রহমানের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, লতিফিয়া উলামা পরিষদ বড়ফেছি শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মিজানুর রহমান আরজু সহ আরো অনেকে। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন লম্পট চরিত্রহীন সাহিক মিয়া (৩২) শুধু স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেনি সে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অসংখ্য নিরিহ নারী পুরুষকে ভয় ভীতি প্রদর্শন ছাড়াও তার কুপ্রস্তাবের ফলে অধিকাংশ মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে ভয় পায়। এছাড়াও তার নিজস্ব সিএনজি অটো রিক্সা দিয়ে এলাকায় নানান অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে আসছে। তার নিজস্ব একটি বাহিনী তৈরি করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নিরিহ মানুষদের অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। সাহিক বাহিনীর ভয়ে নিরিহ লোকজন প্রতিবাদ করতে পারছেন না। বক্তারা ধর্ষক সাহিক মিয়াকে অবিলম্বে গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী বিশাল মানব বন্ধনে থাকা শিশু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সকল বয়সী নারী পুরুষরা ঘৃণ্য জঘন্যতম স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সামাজ সেবক শিক্ষানুরাগী জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মশহুদ আহমেদ, আশার কান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আল আমিন, হাফিজ শাহিন মিয়া সমাজ কর্মী শামিম নিয়া সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক ব্যাক্তি বর্গ । এ ব্যাপারে ধর্ষণ এর শিকার শিক্ষার্থীর পিতা বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে লম্পট সাহিক মিয়া এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে তার সাহিক নিজস্ব একটি বাহিনী তৈরি করে মামলা তুলে নেয়ার জন্য অব্যাহত হুমকিতে আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এস আই জিয়া উদ্দীন বলেন আসামি সাহিক মিয়াকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত ১লা এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ টায় জগন্নাথপুর উপজেলার আশার কান্দি ইউনিয়নের বড়ফেছি পূর্ব পাড়া গ্রামের ইন্তাজ মিয়ার ছেলে সি এন জি অটো রিক্সা চালক লম্পট সাহিক মিয়া (৩২) কর্তৃক ঐ এলাকার একটি গরুর খামারে ৬ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ঐ স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন সহ পরিবারের সদস্যরা ছুটে এলে লম্পট সাহিক মিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ঐ স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে লম্পট সাহিক মিয়ার বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষক সাহিক মিয়াকে গ্রেফতারে এলাকায় অভিযান চালায়। ধর্ষক সাহিক মিয়া এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।