• অপমৃত্যু

    সুনামগঞ্জ পৌরশহরে পারিবারিক কলহের জেরে তিন সন্তানের জনকের আত্মহত্যা

      প্রতিনিধি ২৫ মার্চ ২০২২ , ১০:২৫:৫৫ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ পৌরশহরের নবীনগর এলাকায় স্বামী স্ত্রীর কলহের জেরে তিন সন্তানের জনক কালা মিয়া (৩৪) গলায় ফাঁসী দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, এমন খবর পাওয়া গেছে। তিনি সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের মৃত মখছদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর দ্বিতীয় পুত্র। আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দেখতে আসেন, কুরবান নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বরকত ও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত কাওসার এবং মৃতের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীরা। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার “২৫ মার্চ” রাত অনুমান ৯ টা থেকে ১০টার কোনো এক সময় কালা মিয়া স্ত্রীরসাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। রাত অনুমান ১০টার দিকে দিকে মৃতের বড়ভাইয়ের বউ ইয়ারুন বেগম নাস্তানিয়ে দেবর কালা মিয়াকে ডাক দিতে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে কাঁন্নার করে করে সবাইকে ডাকতে শুরু করেন। খবরটি শুনে নিহতের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর মিয়া রাত পৌনে ১১ টার দিকে থানায় অবহিত করেন। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার এস আই ওমরফারুকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফৌর্স ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন এবং গলায় উড়নাদিয়ে টানানো কালা মিয়ার ঝুলন্ত দেহ সনাক্ত করেন, পরে স্থানীয়দের মদদে তার ঝুলন্ত দেহ নামানো হয়। পরে লাশের সুরতহাল শেষে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। আত্মহত্যার ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াদিন রয়েছে এমনটিই জানান মামলার তদন্তকারী এস আই ওমর ফারুক। কালামিয়া (৩৪) সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের মৃত মখছদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর দ্বিতীয় পুত্র। সে পেশায় একজন ইজিবাইক (ব্যাটারিচালিত অটো) ও ট্রাক ড্রাইভার ছিলো। ট্রাকে সুযোগ না পেলে সে প্রায়শই অটো-ইজিবাইক চালাতো। ড্রাইভারি পেশায় থাকার কারনে সে নেশা করতেন এমনটাই জানিয়েছেন অত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব ও প্রতিবেশীরা। নিহতের বড়ভাই মনির মিয়া বলেন, আজকে আমার মেয়ের বিয়ে ছিলে যার কারনে আমরা সকলেই ব্যস্ত ছিলাম। সবাই বিয়ের ব্যস্ততায় ছিলেন, অপরদিকে ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করছিলো, এদিকে এমন কাজ করলো আমি ভাই হারালাম। নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম “বর্তমান সময়.কম” অনলাইনকে জানান, আমার স্বামী পেশায় একজন ড্রাইভার। সে নেহা এন্টারপ্রাইজের মালিক বিল্লাল মিয়ার ট্রলি ট্রাক চালাতে। আজ শুক্রবার সকালে ট্রাক চালিয়ে দুপুরের দিকে বাসায় এসে বলে, শ্বশুরবাড়ির দিকে যাবে বলে চলে যায়। যথারীতি সে বিকেলের দিকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় আসে এবং আমায় বেদরক মারপিট করতে থাকে। উপায়ান্তর না দেখে আমার বড়মেয়ে দৌড়ে স্বজনদের কাছে যায় এবং তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে বড়ভাই জমির মিয়ার বাসায় আমাকে পাঠিয়ে দেয়। পরে সন্ধ্যের দিকে আমার স্বামী ফোনকরে বাসায় আসার জন্য ডাকলে আমিআসবনা বলে জানাই। রাতে জানতে পারি আমার স্বামী গলায় ফাঁসী দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করেছে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্টশেষে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে

    আরও খবর

    Sponsered content