প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২২ , ১১:৪৩:৩৭ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটপাড়া হুসানিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও সার্টিফিকেট দিয়ে এমএলএসএস পদে মো: হোসেন আহমদ নামে এক ব্যাক্তির চাকুরী দিয়েছেন কর্তৃপক্ষরা। এঘটনায় উপজেলার দামপুর গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসার দাতা সদস্য মো: আবু বক্কর মিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,সুনামগঞ্জ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।গত২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং তারিখে এ অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং অভিযোগের অনুলিপি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাল্লা, থানা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রসাশক সুনামগঞ্জ ও মহা পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর,ঢাকা বরাবরে প্রেরণ করা হয়।
অভিযোগে আবু বক্কর মিয়া জানান তার পিতা মৃত চান মিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার উত্তরাধিকারী একজন দাতা সদস্য। গত ১আগষ্ট ১৯৯৯ইংরেজী তারিখে এমএলএসএস পদে মো: হোসেন আহমদকে চাকুরীতে যোগদান দেন কর্তৃপক্ষরা। ইতিমধ্যে মাদ্রাসাটি এম,পিও ভূক্ত হয়েছে বলে জানা যায়। ইদানিং লক্ষ্য করা যায় এমএলএসএস মো: হোসেন আহমদ বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করিয়া মাদ্রাসার সুনামক্ষুন্ন করাসহ লোকজনদের অযথা হয়রানি করে চলেছে এবং মাদ্রাসার টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। তার এমন অসাধ আচরণ দেখে এলাকার মানুষজনের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হলে অনেক খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন তার অষ্টমশ্রেণী উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট ভূয়া । জানা যায় মো: হোসেন আহমদের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ৪জুন ১৯৬৭ইংরেজী,অন্যদিকে তার প্রদানরত স্কুল সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৮ইংরেজী, যা নিয়োগের সময় প্রদানরত ছাড়পত্রে দেখা যায়। প্রকৃত পক্ষে তার জন্ম তারিখ ৪জুন ১৯৬৭ ইংরেজী হইলে সে কখনও চাকুরী পাইতে পারেনা বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বিষটি তদন্ত করে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ ভূয়া সার্টিফিকেটধারী মো: হোসেন আহমদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটি দাবী জানান দরকাস্থকারী আবু বক্কর মিয়া।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত হোসেন আহমদের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তার জন্ম তারিখ ভুল ছিল বলে স্বীকার করেছেন। তবে সংশোধনের জন্য চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান,বিষয়টি খোজঁ নিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।