প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২২ , ৪:১৬:৫৮ অনলাইন সংস্করণ
মাহমুদ আহসান হাবিব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥ এই নির্বাচন কমিশন আমরা মানিনা, তাদের সাথে চা এর দাওয়াতে আমাদের যাবার কোন প্রশ্নই আসেনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার(১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় শহরের কালিবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এর আগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির পেছনে বিএনপি এবং বিএনপির ব্যবসায়ীরা জড়িত, তথ্য মন্ত্রী হাসান মাহামুদের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি বিএনপির ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য নিয়ে কারসাজি করে থাকেন তাহলে সরকার তাদের আইনের আওতায় আনতে পারছেন না কেনো? দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যদি বিএনপি কাজ করে তবে এ সরকারের উচিৎ অবিলম্বে পদত্যাগ করা। সরকারের নেতারা হাস্যকর মন্তব্য করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ ও রহিঙ্গাদের ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরন করছে। যেকোন স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রতি শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আগ্রাসন কোনভাবেই বিএনপি সমর্থন করেনা। এই সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, এই সরকার জনগনের দাড়া নির্বাচিত নয় সেজন্য যা খুশি তাই বলে। তারা উদ্ধত্ব আচরণ করে, জনগণের সাথে মশকরা করে তারা। আজকে তাদের চরম ব্যর্থতা, এই ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন করানো উচিত বলে আমি মনে করি। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, এই সরকার টিকে আছে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে। তারা রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যাবহার করছে অন্যায়ভাবে। এর কারণে আজ ভিন্নমত যারা পোষন করে, জনগণের পক্ষে যারা কথা বলছেন তাদেরকে পর্যন্ত কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সংবাদকর্মীরা যেন কথা বলতে না পারে, লিখতে না পারে সেজন্য অনেকগুলো আইন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন আছে সেটাতে ৬শত এর বেশি সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। বর্তমান নতুন নিতিমালায় সরকার নিয়ন্ত্রন করবে আপনার আমার কথা। আমাদের সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে, জনগণের মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে, আমরা অবিলম্বে এই নীতিমালাকে বাতিল করতে বলেছি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুবদলের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে তিনি জেলা যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি কার্যালয়ে এবং ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী ফোরামের মত বিনিময় সভায় জেলা আইনজীবী সমিতিতে অংশগ্রহণ করেন।