প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১০:২৩:৪৭ অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেট নগরীর শাহপরান রহঃ থানাধীন বালুচর আল্ ইসলাহ্ জামতলা এলাকায় গত ১৯/০১/২০২২ ইং তারিখে রাত ০৯ ঘটিকায় আব্দুর রশিদের উপর হিরন মাহমুদ নিপু ও তার বাহিনীরা হামলা করে ,স্বর্নের চেইন ও নগদ সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মামলার আসামী হিরন মাহমুদ নিপু, ও তার (ক্যাডার বাহিনীরা) এখনো অধরা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আব্দুর রশিদের পরিবারের লোকেরা, সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ১ ম আদালতে আব্দুর রশিদ এর স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে অজ্ঞাত আরো ৫ জন সহ মামলা দায়ের করেন, যাহার নং (০৫) মামলার ১৭ দিনেও ধরা পড়েনি সন্ত্রাসী হামলার মুল হোতা ও তার সহযোগীরা। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত শাহপরান সি/আর মামলা এফআইআর এর আদেশ দেয়। গত০৩/০২/২০২২ইং শাহরান (রহঃ) থানায় মামলাটি রুজু করা হয়, বাদীনি আব্দুর রশিদের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম এ প্রতিনিধি কে জানান ১নং বিবাদী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে, আমার বসতঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আমি মোছাঃ দেলোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ০২/০৯/২০১৯ ইং তারিখে মামলা দায়ের করি তাদের বিরুদ্ধে, যাহার নং( ৩১২) ইতি পূর্বে বিবাদীদের বিরুদ্ধে বর্ণিত সি/আর মামলা দায়ের করার পর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের,এসআই সুমেন দাস,বিবাদীদের বিরুদ্ধে,বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সত্যতা পাইয়াছেন উল্লেখ করিয়া প্রতিবেদন দাখিল করার পর,বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমি ও আমার স্বামী কে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আসতেছিল। গত,১৫/১২/২০২১ইং তারিখে, আমার স্বামী বিজয় দিবস উপলক্ষে বাসা হইতে বাহির হইয়া বালুচর পয়েন্ট যাওয়ার পর ১নং বিবাদী হিরন মাহমুদ নিপু ,২নং বিবাদী গাজি মিয়া,অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন আমার স্বামী কে এলাকা ছাড়িয়া চলিয়া না গেলে প্রাণে হত্যা করিবে বলে হুমকি দেয়। ১৯/০১/২০২২ইং তারিখে রাত ০৮ ঘটিকায় আমি ও আমার স্বামী উওর বালুচর আল ইসলাহ এডভোকেট এর বাসায় যাই আমাদের মামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আলোচনা শেষে রাত ০৯ ঘটিকার সময় এডভোকেট এর বাসা থেকে বের হয়ে জামতলায় আসি,পূর্ব হইতে ওৎপেতে থাকা বিবাদীগণ রামদা কিরিছ হকিস্ট্রিক লোহার রড ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প,দেশি অস্ত্র নিয়া আমাকে ও আমার স্বামী কে ঘেরাও করিয়া ২নং /৪নং /বিবাদী আমার স্বামীকে ঝাপটা মারিয়া ধরে ১নং বিবাদী হিরন মাহমুদ তাহার হাতে থাকা রামদা দিয়া আমার স্বামীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কুপ মারে,। আমার স্বামী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলে ১নং বিবাদীর হুকুমে ৩নং বিবাদী আলাউদ্দিন,হকিস্ট্রিক দিয়া মাথায় বাড়ি মারিলে আমার স্বামী ডান হাতদিয়া প্রতিহত করিলে ডান হাতের কনুইয়ে মারাত্মক হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। ৫নং বিবাদী প্রাণ মারিবার লক্ষে রড দিয়ে বারি মারিলে আমার স্বামী ডান পা দিয়া বারি ফেরানোর চেষ্টা কালে ডান পায়ের গুড়ালিতে লাগিয়া হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। আমার স্বামী চিৎকার করার চেষ্টা করিলে ৬নং /১১নং বিবাদী গলায় চাপ দিয়া ধরে শ্বাসরোদ্ধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। আমি চিৎকার করে আমার স্বামী কে রক্ষার জন্য এগোলে ১নং বিবাদীর হুকুমে ৭নং বিবাদী এলোপাতাড়ি কিল গুসি লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে। নীলাপোলা জখম করে, ৮নং বিবাদী আমার পরণের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। ৯নং বিবাদী আমার গলায় থাকা ১০আনা স্বর্ণের চেইন টান মারিয়া ছিড়িয়া নেয়, যার মূল্য অনুমান ৪৩,০০০/- টাকা,। ১০নং বিবাদী আমার স্বামীর প্যান্টের পকেটে থাকা ৭০০০/টাকা কাড়িয়া নেয়। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে ১নং বিবাদীর ভয়ে কেহই প্রতিবাদ করার সাহস পায় নাই। বিবাদীরা আমার স্বামী কে এলোপাতাড়ি কিল গূসি লাথি মারিতে থাকে, আমার স্বামী নড়াচড়া নাই দেখিয়া আমার স্বামী মারা গিয়াছে মনে করিয়া পুনরায় তাহাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোন মামলা করিলে আমাকে ও প্রাণে হত্যা করিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিবাদীরা যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চলমান সিএনজিতে করিয়া আমার স্বামী কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি ।। আমার স্বামীর মাথায় ১৮টি সেলাই লাগে মাথায় আঘাতের ফলে এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে নাই। আমার স্বামীর চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং ঘটনার বিষয় স্থানীয় লোকজনকে জানাইয়া থানায় অভিযোগ করিতে গেলে , বিবাদীগন প্রভাবশালী লোক থাকায় থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্ৰহন করতে অনীহা প্রকাশ করায় ন্যয় বিচারের জন্য আদালতের নিকট শরনাপন্ন হই। দুঃখ জনক বিষয় হলো বিবাদীরা এখনও বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চলাফেরা করছে! আমি ও আমার পরিবারের আবার যে কোনো বড় ধরনের ক্ষতিসাধণ করিতে পারে,আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি। এব্যাপারে শাহ্পরান (রহঃ) থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অতি শীঘ্রই আসামীদের আটক করা হবে।