প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:২২:৪৬ অনলাইন সংস্করণ
মাইনুল হক সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর উদ্যোগে নির্মিত বাঁধের কাজ শেষ পর্যায়ে হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসির সাথে জড়িতরা বিল পাচ্ছেননা বলে অভিযোগ উঠেছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মুসলিমপুর,বালাকান্দা বাজার ও সৈয়দপুর গ্রামের মধ্যে তিনটি পিআইসির সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় ২৫ জন কৃষক। তাদের দাবী ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ করলেও ৭৫/৮০ ভাগ বকেয়া বিল পাচ্ছেননা তারা। কর্তৃপক্ষ মাত্র ১ম বিলের আওতায় প্রত্যেক পিআইসিকে সর্বোচ্চ ২০-২৫% বিল প্রদান করেছেন। পুরো বিল না পাওয়ায় পিআইসিরা ঋনদাতাদের কাছে নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে ৩টি পিআইসি প্রকল্প অনুমোদন করে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে সভাপতি মোঃ আলাউর রহমান নেতৃত্বাধীন ২০ নং পিআইসি, মোঃ আবু বাক্কার সিদ্দিক নেতৃত্বাধীন ২নং পিআইসি, মোঃ আবু সালেহ নেতৃত্বাধীন ২১নং পিআইসি। উক্ত পিআইসি গুলোর প্রতিনিধিরা ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে তাদের পিআইসির কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদেরকে মাত্র ১টি বিলের আওতায় শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ টাকা প্রদান করেছেন। ফলে পিআইসির লোকজন মারাত্মক ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন। বরাদ্দকৃত বিলের টাকা পেয়ে পরিশোধ করবেন এই শর্তে কোন কোন পিআইসির সভাপতি ও সদস্য-সচিবগন ধার কর্জ ও সুদের উপর টাকা সংগ্রহ করে জরুরী ভিত্তিতে বাঁধের কাজ শেষ পর্যায়ে এনেছেন। কোন কোন বাঁধে সর্বোচ্চ ৫শ থেকে ৭শত টাকা রোজে মাটিকাটার জন্য দিনমজুর নিয়োগ করেছেন। আবার কেউ অন্য জেলা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ভাড়া দিয়ে মাটিকাটার মেশিন এনে পিআইসির কাজ করেছেন। পিআইসির কাজ সময়মত শেষ করানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসাররা দফায় দফায় পিআইসির লোকদেরকে চাপপ্রয়োগ করেছেন। কিন্তু এখন পিআইসির কাজ শেষ পর্যায়ে এসেছে। ১ম বিল দিয়ে এখন কোন বিল দিচ্ছেননা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। সুরমা ইউনিয়নের ২নং পিআইসির সভাপতি মোঃ আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, আমরা উল্যেখিত তারিখের আগেই আমাদের বাঁধের কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। বিগত তারিখে ১ম বিল পেয়ে কাজ শুরু করেছি। এখন কাজের শেষ হয়ে গেছে কিন্তু কোন বিল পাচ্ছিনা। এমতাবস্থায় আমরা ধার দেনা করে পিআইসির কাজ সম্পুর্ন করেছি। সময়মত পিআইসির বিল না পেলে, আমাদেরকে বিরাট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এবিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান শাহরিয়ার বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পিআইসির বিল দিয়ে দিব।