প্রতিনিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ২:৪৬:৫১ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বৃহত্তর রঙ্গারচর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত আলহাজ্ব মতিউর রহমান কলেজের এইচএসসি ২০২২ ফলাফলে শতভাগ পাশ করায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী ব্যাপক আনন্দিত।
কলেজ সুত্র জানা যায়, আলহাজ্ব মতিউর রহমান কলেজে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯১ জন, যারা সবাই পাস করেছেন। বিগত কয়েকবছরে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার মধ্যে এবারই সবচেয়ে ভালো ফলাফল এবং শতভাগ পাশ করেছে কলেজটি ৷ এই আনন্দে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে গতকাল মিষ্টি বিতরণও করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য সর্বপ্রথম এই কলেজ টি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ কলেজ টি নিজস্ব জমিতে এবং নিজস্ব অর্থায়নে ২০১১সালে প্রতিষ্ঠা করেন সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান। তিনি বর্তমানেও কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দাযিত্ব পালন করছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মশিউর রহমান বলেন, ‘এ সাফল্যে আমি গর্বিত। আমি মনে করি, আমাদের সকল শিক্ষক-অভিভাবকদের সার্বিক নজরদারি ও আন্তরিকতা এ ফলাফল এনে দিয়েছে। বিশেষ করে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান স্যার সার্বক্ষণিক খোজখবর রেখেছেন, করোনাকালীন এই সময়ে যখন যা প্রয়োজন তা তিনি ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমাদের শিক্ষকমন্ডলী অনলাইন ক্লাস, এসাইনমেন্ট সহ বিশেষ ক্লাসগুলো খুব যত্ন সহকারে নিয়েছেন যার ফলশ্রুতিতে আমাদের কলেজ শতভাগ পাশ করেছে ’।
ফলাফলে অগ্রগতি ও সাফল্য প্রসঙ্গে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভালো ফলের পেছনে অনেকগুলো বিষয়ে জড়িত। আমার কলেজের শিক্ষকমন্ডলী করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস নিয়েছেন। কিছুদিনের জন্য যখন কলেজ খুলে তখন আমার কলেজের সকল শিক্ষকমন্ডলী পরীক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাস, মডেল টেষ্ট পরীক্ষা নিয়েছেন। নিয়িমিত তাদের পড়াশোনার অগ্রগতি অভিভাবক সমাবেশ ডেকে অভিভাবকদের মাঝে তুলে ধরেছেন। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা ছিল।
অধ্যক্ষ, প্রভাষক এবং গভর্নিং বডির সকল সদস্যের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও আন্তরিকতার জন্যই আজকের এই সাফল্য। আমার কলেজের শিক্ষকমন্ডলী এই কৃতিত্বের দাবীদার।
তিনি আরো বলেন, বৃহত্তর অবহেলিত এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দিক বিবেচনা করে আমি নিজস্ব অর্থায়নে আমার জমিতে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের কলেজ এ শ্রেনীকক্ষের সংকট রয়েছে। ভবন প্রয়োজন। অনেক দূর থেকে শিক্ষকবৃন্দ এসে পাঠদান করেন। সেই তুলনায় আমার কলেজের ফান্ড এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে যেই বেতন দেয়া হয় তা তুলনামূলক কম। এই কলেজটি এমপিওভুক্ত হলে সকল সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবে এবং এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে তাদের মেধার বিকাশ আরো ঘঠবে। আমাদের অনার্স ও ডিগ্রী কোর্স চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। জীবদ্দশায় এই কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়েছে দেখে যেতে চাই এটাই আমার স্বপ্ন।