• কৃষি সংবাদ

    হুমকিতে এলাকা ছাড়লো গাছিরা, ঠাকুরগাঁওয়ে খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরী বন্ধ

      প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২২ , ১১:০৫:৩৪ অনলাইন সংস্করণ

    মাহমুদ আহসান হাবিব,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি খেজুর বাগান। গত বেশ কয়েক বছর ধরে শীত মৌসুমে এ বাগানের রস থেকে উৎপাদিত হয়ে আসছিলো বেশ উন্নতমানের খেজুর গুড়। তবে এবারে মৌসুমের মাঝামাঝিই চাঁদাবাজদের হুমকিতে বাগান ও এ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে গাছিদের।

    সুত্র জানায়, সদর উপজেলার নারগুন বোচাপুকুর এলাকায় সুগার মিলের একটি জমিতে প্রায় ৫ শতাধিক গাছ নিয়ে গড়ে ওঠে এ খেজুর বাগানটি। ২০১৮ সালের দিকে বাগানটি লিজ নেয় রাজশাহীর কয়েকজন গাছি । তারা বাগান থেকে রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে তৈরী করছিল বিভিন্ন ধরনের গুড়। সময়ের ব্যবধানে খেজুরের রস ও রস থেকে তৈরীকৃত এসব বিভিন্ন ধরনের গুড় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল জেলাজুড়ে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার গুড় যাচ্ছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন মানুষ এই বাগানে ভিড় করতো বাগান দেখতে, খেজুরের রস খেতে কিংবা গুড় তৈরি দেখতে।

    রোববার সকালে খেজুরের গুড় তৈরির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে গাছিদের দেখা পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় গাছি দলের প্রধান কারিগর সুজন আলীর সাথে।

    এই বিষয়ে কারিগর সুজন আলী মুঠোফোনে জানান, প্রতিবারের ন্যায় এবছরও গাছিরা এই বাগানে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি শুরু করে। কিছুদিন আগে এক রাতে কয়েকজন লোক এসে বিনামূল্যে খেজুরের রস খায় এবং বেশ কিছু রস নষ্ট করে। তারা নানা রকম হুমকি প্রদান করেন। রাতের সময় এসে হত্যা করবে বলে ভয় দেখায়। এক দুইদিন পর পর এসে তারা এভাবে চাদা দাবি করেন ও হুমকি দেন। শেষ পর্যন্ত উপায়ান্তর না পেয়ে আমরা বাধ্য হয়ে গুড় তৈরীর কাজ বন্ধ করে বাড়ি চলে আসি।

    এবিষয়ে সুজন আলী স্থানীয় প্রশাসন বিভাগের কারও কাছে অভিযোগ করেছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের বাড়ি অনেক দুরে। রাতের আধারে তারা যদি সেখানে আমাদের মেরে ফেলতো কে আসতো আমাদের বাঁচাতে? তাই প্রাণের ভয়ে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানাইনি।,

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামন বলেন, বিষয়টিকে অত্যান্ত দুঃখজনক। গাছিরা বিষয়টি আমাকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত। ভয়পেয়ে গাছিরাbj গুড় তৈরির কাজ বন্ধ না করে তাদের উচিত ছিল প্রশাসনকে অবগত করা। আগামিতে এরকম কোনো কিছু হলে কঠোর হস্তে তা দমন করা হবে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

    Sponsered content