• করোনা ভাইরাস নিউজ

    সিলেটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা

      প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:০৫:০১ অনলাইন সংস্করণ

    ভাটি বাংলা ডেস্কঃ সিলেটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাস। করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে- এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ও রোগী শনাক্ত হয়েছে সোমবার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,

    গত ডিসেম্বরের পুরো মাসে যেখানে করোনাক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ১০৬ জন, সেখানে চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম দশ দিনেই শনাক্ত হয়েছেন ১৪৫ জন।

    সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, সিলেটে বেশ কিছুদিন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন আবার বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সবার সচেতনতা প্রয়োজন।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে সিলেটে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩২ জন। ৬৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের হার ৪.৮০। রোগী শনাক্তের সংখ্যা ও শনাক্তের হার গত প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    গত ডিসেম্বর মাসে সিলেট বিভাগে ১০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়, মারা যান ৩ জন। অথচ গত প্রায় চার মাসে বেশ কয়েকদিন গেছে, যেদিন কোনো রোগীই শনাক্ত হননি নমুনা পরীক্ষায়। কিন্তু পরিস্থিতি এখন বদলাতে শুরু করেছে। প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণের হার।

    স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুসারে, ১ জানুয়ারি সিলেট বিভাগে করোনায় সংক্রমণের হার ছিল ১.৩১ ভাগ, ২ জানুয়ারি ০.৪২, ৩ জানুয়ারি ১.২০, ৪ জানুয়ারি ১.৫২ ভাগ। ৫ জানুয়ারি সংক্রমণের উলম্ফন দেখা যায়। সেদিন সংক্রমণের হার ছিল ৩.১৪ ভাগ। এরপর ৬ জানুয়ারি ২.৮৮ ভাগ, ৭ জানুয়ারি ১.৬১ ভাগ, ৮ জানুয়ারি ৩.০৯ ভাগ এবং ৯ জানুয়ারি ২.৮৫ ভাগ ছিল সংক্রমণের হার।

    এসব ছাপিয়ে সর্বশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ ভাগে

    গত ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে আজ ১০ জানুয়ারি সকাল ৮টার মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৪৫ জন। সব মিলিয়ে বিভাগে রোগীর সংখ্যা এখন ৫৫ হাজার ২৩১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৯ হাজার ৯৯০ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৩ জন।

    এদিকে সিলেটজুড়ে জ্বর, সর্দির প্রকোপ বাড়ছে। তবে তাদের অধিকাংশই করোনার পরীক্ষা করাচ্ছেন না। এখন প্রতিদিন বিভাগের চার জেলা মিলিয়ে ৬-৭শ মানুষের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    আরও খবর

    Sponsered content