• অনিয়ম / দুর্নীতি

    শাল্লা ইউএনও’র বিরুদ্ধে ডিসি বরাবরে অভিযোগ

      প্রতিনিধি ৯ জানুয়ারি ২০২২ , ৮:৩৭:৩৩ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের শাল্লায় মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের গৃহ নির্মাণে বালু সরবরাহ করেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক আর্থিক বিলের টাকা না পাওয়ায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার সকালে শাল্লা উপজেলার মার্কুলী গ্রামের মৃত মফিজ আলীর ছেলে মো. এলাছ মিয়া জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,২০২১ সালে এই উপজেলায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ১৪৩৫টি গৃহ নির্মাণের জন্য আর্থিক বরাদ্দ হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মোক্তাদিরের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। এতে এই গৃহ নির্মাণের জন্য প্রচুর বালি সরবরাহের জন্য মো. এলাছ মিয়ার সাথে মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে আল মুক্তাদির হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণের উপস্থিতিতে পন্যর দর দাম সাবস্থ্যর মাধ্যমে মৌখিক চুক্তি হয়। এতে ঠিকাদার মো. এলাছ মিয়া প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ৪শত ফুট বালি হিসেবে ১৮২টি ঘরে ৭২ হাজার ৮শত ফুট বালি সরবরাহ করেন। এছাড়াও আরো ২৭টি ঘরে ৩২৪০ ফুট বালি সরবরাহ করেন। এই দুটি স্ক্রীমে মোট বালির বিল দাড়াঁয় ২০ লাখ ২৪ হাজার ৯২০ টাকা। গত ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে ১৬ লাখ টাকা বিভিন্ন মেয়াদে পরিশোধ করলে ও বাকি ৪ লাখ ২৪ হাজার ৯২০ টাকা পরিশোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সময় কালক্ষেপন করছেন বলে ঠিকাদার মো. এলাছ মিয়া অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন। ঠিকাদার বালি সরবরাহ করতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে বিল না পেয়ে এলাকার লোকজনের নিকট হতে চড়াসুদে টাকা এনে বালি সরবরাহ করেন। গত ৭/৮ মাস ধরে বিল পেতে সময় কালক্ষেপনের কারণে ঠিকাদার নিরুপায় হয়ে গত ২২/০৯ ২০২১ সালে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ঠিকাদার এলাছ মিয়া জানান,আমি বালির ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। কিন্তৃু এই গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রচুর পরিমান বালি সরবরাহের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মুক্তাদির এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগনের উপস্থিতিতে দরদাম সাবস্থ্য করে মৌখিকভাবে চুক্তি সম্পাদন করা হয়। আমি তখন থেকেই এলাকার মানুষের নিকট হতে ধার দেনা করে টাকা এনে সঠিক সময়ে বালি সরবরাহ করে এখন টাকা পাওনা নিয়ে সংকটের মধ্য আছি। তিনি বিভাগীয় কমিশনা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিল পাওয়ার দাবী জানান। এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মোক্তাদির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি অভিযোগের কাগজ হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content