প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:৪৬:৫২ অনলাইন সংস্করণ
আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী বালি পাথর মহাল থেকে জব্দ ও নীলাম নাটক বন্ধসহ অবৈধ বালি পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রধানমন্ত্রী ও জ্বালানী সম্পদ মন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুনামগঞ্জের বি ত বালিপাথর ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন,প্রতিদিন প্রায়
৩ লক্ষ ফুট বালি (বাজার মূল্য ৬৫ লাখ টাকা) এবং ১ লক্ষ ফুট পাথর (বাজার মূল্য ১ কোটি টাকা) প্রকাশ্যে দিবালোকে সুরমা নদীর মাঝে কার্গো বাল্কহেড ও ইঞ্জিন নৌকা নোঙ্গর করে প্রশাসনের নাকের ডগায় লোড আনলোড করে যাচ্ছে শহর গ্রামের চিহ্নিত চোরাকারবারীদের একটি অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
গত ১৪ জুন থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ চোরাকারবারীরা জেলা প্রশাসনের বিনাবাধায় রাষ্ট্রের মূল্যবান খনিজ সম্পদ লুটতরাজের মহোৎসব চালিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছেনা।
ছাতক পাথর বালি সমবায় সমিতির সভাপতি ফজলু চৌধুরী,সেক্রেটারী আবুল হাসান,সহ-সভাপতি সোহাগ আলী,সুনামগঞ্জের ব্যবসায়ী ফুল মিয়া ও নজীর উদ্দিনসহ শত শত বালি পাথর ব্যবসায়ীরা বলেন,গত ২৪-১১-২০১৯ইং তারিখে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্বান্ত অনুযায়ী বালি পাথর উত্তোলনের সমস্যা নিরসনে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সচিব সমন্বয় ও সংস্কার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে আহবায়ক করে একটি আন্ত: মন্ত্রণালয় কমিটি গঠণ করা হয়েছে। উক্ত কমিটির সুপারিশ না পাওয়া পর্যন্ত সারা দেশের গেজেটভূক্ত পাথর কোয়ারী,সিলিকাবালু কোয়ারী ইত্যাদীর ইজারা আপাতত বন্ধ থাকবে।
ইজারা বন্ধ থাকাকালীন কোনরুপ খাস কালেকশনের মাধ্যমে পাথর/সিলিকাবালু উত্তোলন করা যাবেনা।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্বান্ত অনুযায়ী
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গেজেটভূক্ত পাথর কোয়ারী/সিলিকাবালুর কোয়ারীর সংরক্ষণ,নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারী স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। ১৮ ফেব্রæয়ারি জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম,সরকারী এ সিদ্বান্তের কথা খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসককে পত্র মারফতে অবগত করেন।
তৎপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ধোপাজান বালি পাথর মহালটি ইজারা বা খাস কালেকশন প্রদান করেনি। কিন্তু
প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় চোরাকারবারী সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত ধোপাজান চলতি নদী হতে বালি পাথর উত্তোলন করেই যাচ্ছে। প্রধানত ৩টি রোডে চোরাকারবারীরা বেআইনীভাবে উত্তোলিত বালি পাথর দেশের অন্যত্রে বিক্রয় করে যাচ্ছে। চোরাকারবারীদের প্রধান রাস্তাটি হচ্ছে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন ডলুরা ৪৮ শহীদের মাজার থেকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারঘাট বাজারস্থ নদীর পাড় ও মইনপুর গ্রামের ক্রাশার মেশিন ব্যবসায়ীদের কাছে ট্রাক ট্রলির মাধ্যমে বহন করত: পাথর পাচার,দ্বিতীয় ধোপাজান চলতি নদী হতে ইঞ্জিন নৌকা যোগে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সামনে দিয়ে সুরমা নদীতে বের হয়ে নৌপথে বালি ও পাথর পাচার এবং তৃতীয় রাস্তাটি হচ্ছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মথুরকান্দি বাজার থেকে বাগবেড় বাজার হয়ে ভাদেরটেক রাস্তায় উঠে বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক দিয়ে বালি ও পাথর পাচার।
গত জুন মাসের আগে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বালি পাথর উত্তোলনকারী চোরাকারবারীদেরকে মোবাইল কোর্টের আওতায় দন্ড প্রদানসহ মোটা অংকের টাকা আর্থিক জরিমানা ধার্য্য করতো। ১৪ জুন থেকে এই সিস্টেম পাল্টিয়ে প্রশাসন শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর,বিজিবি,র্বযা,উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এই ৫টি সরকারী প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী দ্বারা গঠিত টাস্কফোর্সের অভিযান মাধ্যমে বালি পাথর জব্দ করত: নীলাম প্রদান করা। কিন্তু মোবাইল কোর্ট ও টাস্কফোর্সের অভিযানের মাধ্যমে নীলাম প্রদান কার্যক্রম চালিয়েও অবৈধ বালি পাথর উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছেনা। বরং এ প্রক্রিয়ায় চোরাকারবারী সিন্ডিকেট মারাত্মকভাবে উৎসাহিত হয়ে ১০ হাজার ফুট বালিকে ১ লাখ ফুট বালি হিসেবে বাড়তিভাবে যৌথবাহিনীর দেয়া ক্ষমতাপত্রে মাল ও টাকার পরিমাণ অতিরিক্ত লিখিয়ে নিয়ে মোটা অংকের টাকা পুজি খাটিয়ে অঘোষিতভাবে নিজেদেরকে মহালটির ইজারাদার হিসেবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নীলামকৃত মালামালের পরিবর্তে তারা নীলামের দীর্ঘ সময়কে কাজে লাগিয়ে ড্রেজার ও বোমা মেশিন দ্বারা এবং বেআইনী জনতাবদ্ধে ৩ হাজার বারকী শ্রমিক খাটিয়ে নদী হতে দেদারছে উত্তোলন করছে বালি পাথর। এতে গোটা কয়েক কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেটের লোকজন লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ,ভেঙ্গে যাচ্ছে নদীর পার ও জনবসতি এমনকি সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ও সুরমা ইউনিয়নের এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ মানুষের চলাচলের জন্য এলজিইডির নির্মিত পৃথক দুটি রাস্তা।
ব্যবসায়ীরা বলেন,আমরা সুনামগঞ্জের সদর,ছাতক,জামালগঞ্জ,তাহিরপুর,বিশ্বম্ভরপুর,দোয়ারাবাজার উপজেলার বালি পাথর স্টক ব্যবসায়ী বটে। আবহমান কাল থেকেই বর্ষাকালে বালি পাথর সংগ্রহ করত: শীত মৌসুমে সারাদেশে বিক্রয় করে যথারীতি যথানিয়মে ব্যবসা করে যাচ্ছি। বিগত বছরগুলোতে সরকারের বড় বড় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বালি পাথর যোগান দিয়ে সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য বালি পাথর ব্যবসাকে ধরে রেখেছি। ২০১৯ সালের করোনা সংক্রমণের মহামারীর পর থেকে বালি পাথর ব্যবসায় ব্যাপক ধ্বস নামে। অনেক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমের স্টককৃত লক্ষ লক্ষ ফুট বালি পাথর বিক্রি করতে পারি নাই। বর্তমানে আমাদের স্টককৃত বালিপাথর অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ব্যাংক ঋন,কর্জ,ধার দেনার মাধ্যমে আমরা উক্ত মালামাল স্টক করেছিলাম।
দীর্ঘদিন ধোপাজান চলতি নদী বালি পাথর মহালটি ইজারাবিহীন থাকার কারণে গোয়াইনঘাট জাফলং,ভোলাগঞ্জ,সেলা,ফাজিলপুর বালি পাথর মহাল থেকে সরকারের বৈধ রয়েলিটি,আনুসাঙ্গিক ট্যাক্স পারমিট প্রদান করে আমরা ছাতকের আমবাড়ী থেকে জামালগঞ্জের লালপুর এলাকা পর্যন্ত সুরমা নদীর উভয় পাড়ে বিভিন্ন সমিতির আওতাভূক্ত দুই হাজার প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এই বালি পাথর স্টক করি।
বিগত ২০১৯ সালের করোণা ভাইরাসের লকডাউনের কারণে আমাদের ব্যবসা মারাত্মক সংকটে পড়ে। আমরা ছটাক পরিমাণ মালও বিক্রি করতে পারিনি। অন্যদিকে একতরফা সুযোগ নিচ্ছে সিন্ডিকেটের চোরাকারবারীরা।
বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আওতাধীন ধোপাজান চলতি নদী বালি পাথর মহালে অসময়ে নতুন উত্তোলনকৃত বালি পাথরের ব্যাপক যোগানের কারণে আমরা স্টক ব্যবসায়ীরা দিশেহারা ও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। অন্যদিকে প্রশাসন ও চোরাকারবারী সিন্ডিকেট এর নীলাম নীলাম খেলার মাধ্যমে ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী বালি পাথর মহাল থেকে রয়েলিটি ছাড়া বালি পাথর বিক্রি করার কারণে আমাদের মালগুলো এখন পর্যন্ত আমরা বিক্রি করতে পারিনি।
মহালটি বন্ধ থাকার কারণে আমরা প্রকৃত ব্যবসায়ীরা অনেক দূরের বৈধ ইজারাকৃত মহাল থেকে বাধ্য হয়ে সরকারের আইন মান্যক্রমে অধিক মূল্যে মাল সংগ্রহ করে স্টক করি। কিন্তু ধোপাজান চলতি নদীর বালি পাথর মহালের নীলাম গ্রহনকারীরা রাতের অন্ধকারে ড্রেজার ও বোমা মেশিন বসিয়ে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালি পাথর সংগ্রহ করে নীলামের নামে সারা দেশে বিক্রয় করে যাচ্ছে। যারা আইনের দৃষ্টিতে প্রকৃত ব্যবসায়ী হওয়াতো দূরের কথা সরকারের বিভিন্ন মোবাইল কোর্টের আওতায় দন্ডিত দাগী আসামী চোরাকারবারী বটে।
সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা নদী মহাল হতে বেআইনীভাবে ড্রেজার ও বোমা মেশিন দ্বারা বালি পাথর উত্তোলন করে নিজেরাই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিয়ে নীলামের আয়োজন করে নিজেদের চোরাইকৃত মালামাল নিজেরাই ক্রয় করে অবৈধ মালামালকে সরকারী জব্দকৃত মালামালের মোহর মেরে বৈধ মাল হিসেবে গণ্য করত:
মহাল থেকে ইঞ্জিন নৌকা,বাল্কহেড,কার্গো এবং ট্রাক ট্রলি যোগে বের করে প্রশাসনের বিনা বাধায় এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সারাদেশে পাচার করে যাচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৩ লক্ষ ফুট বালি (বাজার মূল্য ৬৫ লাখ টাকা) ও ১ লক্ষ ফুট (বাজার মূল্য ১ কোটি টাকা) পাথর প্রকাশ্যে সুরমা নদীর মাঝে নোঙ্গর করে প্রশাসনের নাকের ডগায় লোড আনলোড করতেছে।
আগামী ১৭ জানুয়ারি কথিত নীলাম ক্রয়কারীদের নীলাম ক্রয়ের নির্ধারিত সময়সীমা সমাপ্তির পথে। কিন্তু উক্ত নীলাম গ্রহনকারীরা নতুন করে ধোপাজান নদীর পাড়ে ইতিমধ্যে কিছু বালি পাথর রেখে দিয়েছে নতুন করে নীলাম গ্রহনের অসদুদ্দেশ্যে। ১৭ জানুয়ারি আসার পূর্বেই কখন কোথায় কিভাবে নীলাম হবে এবং কে সেই নীলাম ক্রয় করবে তা ইতিমধ্যে ঐ সিন্ডিকেটচক্র প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
সিন্ডিকেট চক্রের মূল উদ্দেশ্যটি হচ্ছে জব্দকৃত মালামাল বহন করে নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে নির্ধারিত দীর্ঘ সময়সীমা বেধে নেওয়া। এর মধ্যেই মূলত: ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে। আবার নতুন করে লক্ষ লক্ষ ফুট বালি পাথর উত্তোলন করে বিক্রয় করাটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
এহেন ঘৃণ্য জব্দ নাটক ও নীলাম খেলা ম ায়নের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছে নীলাম গ্রহনকারীদের ৪০/৫০ জনের চোরাকারবারী সিন্ডিকেট চক্রটি। ঐ চক্রের সাথে যোগসাজস রয়েছে পৌরট্যাক্স, টুল ট্যাক্স ও বিআইডব্লিউটিএ ট্যাক্স আদায়কারী তথাকথিত ইজারাদারচক্র।
প্রকাশ্যে টুল ট্যাক্স আদায়কারীরা ছোট নৌকা যোগে ধোপাজান চলতি নদীর মুখে পুলিশ ক্যাম্পের নিকটে অবস্থান করে জোরজলুমের মাধ্যমে যেমনি টাকা আদায় করছে তেমনি কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারীরা আর্থিক সুবিধা গ্রহনের মাধ্যমে ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী বালি পাথর মহালের সকল প্রাকৃতিক সম্পদ উজাড় করতে সর্বদা তৎপর রয়েছে। সর্বশেষ সিন্ডিকেটচক্রটি টার্গেট করেছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধোপাজান নদীর অংশে কিছু বালি পাথর মজুত রেখে টাস্কফোর্সের অভিযানের মাধ্যমে যেকোন মূল্যে নীলাম ক্রয় করে আরো বেপরোয়াভাবে নদী হতে বালিপাথর উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঐ সিন্ডিকেট চক্রটি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিউর রহিম জাদিদ বলেন,আমরা সুনামগঞ্জের মতো দীর্ঘ সময় দিয়ে নীলাম দেবনা। আমরা যত কম সময়ের মধ্যে জব্দকৃত বালি পাথর নীলাম গ্রহনকারী সরিয়ে নেয় তাও আমাদের নজরদারীতে আমরা সেই ব্যবস্থাই গ্রহন করবো। আর নীলাম নিয়ে কেউ যদি নদী হতে বালি পাথর উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো বিএমডির মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মোঃ নুরুন্নবী বলেন,খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কে না জানিয়ে এবং আমাদের বিএমডির কোন প্রতিনিধি না রেখে ধোপাজান নদী বালি পাথর মহালের বালি পাথর নীলাম দেওয়ার এখতিয়ার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নেই। যারাই যেভাবে নীলাম দিয়ে সুবিধা বহন করছেন তাদেরকে মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাবদিহী করতেই হবে।
সুনামগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ধোপাজান চলতি নদী বালিপাথর মহালটিতে জব্দ ও নীলাম নাটক বন্ধসহ অবৈধ বালি পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করা এবং গত ১৪ জুন থেকে আজ পর্যন্ত অবৈধভাবে ইজারাবিহীন ধোপাজান নদী হতে বালি পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটচক্রের কাছ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরন আদায় করে আদায়কৃত টাকা সরকারী কোষাঘারে জমা প্রদান এবং নীলামের ক্ষমতাপত্রকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে মহালটি থেকে বেআইনীভাবে পাথর বালি উত্তোলনের দায়ে চিহ্নিত সিন্ডিকেটচক্রকে অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।