প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২২ , ৮:৫৮:২৪ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ স্বামী সংসার সবই ছিলো নাছিমা বেগমের। জীবন চলছিল সুন্দরভাবে। বিয়ে হয়ে ছিলো দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের মকসদপুর গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদ এর ছেলে সফিক মিয়ার সাথে। ১৪ বছরের সংসার জীবনে ১২ বছরের এক ছেলে ও ৮ বছরের এক মেয়ে রয়েছে তাদের।
হঠাত এক ঝড়ো হাওয়ায় এলোমেলো হয়েগেল জীবনের সবকিছু। স্বামীর আকস্মিক মৃত্যতে মাথার ছাতা হারানোর সাথে সাথে নিরাপত্তাজীন হয়ে পড়েন শশুরালয়ে। শোকের দাগ কাটতে না কাটতেই ধর্ষিতা হোন নিজ দেবর লম্পট মোঃ আশিক মিয়ার দ্বারা। লোক লজ্জ্বার কথা বলে ধর্ষকের বড় ভাই আশিকের সাথে বিয়ে দিবেন নাছিমাকে আশ্বস্থ করেন।
এমতাবস্থায় ধর্ষনের ফলে নাছিমা গর্ভবতী হয়ে পড়লে, আত্মীয়স্বজন ও গ্রাম্য গণ্যমান্য বর্গের সহায়তার ১৫ মে, ২০২১ সালে ধর্ষিতা নাছিমার বিয়ে দেওয়া হয় ধর্ষক মোঃ আশিক মিয়া সাথে।
ধর্ষক মোঃ আশিক মিয়ার ঔরশে নাছিমার গর্ভে এক ছেলে সন্তান আবু সুফিয়ানের জন্ম হয়।
অতপর — আরও দুঃখ গাথা শুরু হয় নাছিমার জীবনে। কয়েকদিন পরেই শুরু হয় অত্যাচার নির্যাতন। কঠিন রোগে আক্রান্ত শিশু আবু সুফিয়া ও নাছিমা বেগম’কে অনাহারে অর্ধাহারে রাখিয়া বিনা চিকিৎসায় ফেলে রেখেছে আশিক মিয়া।
নাছিমা বেগম অভিযোগ করেছেন তার সন্তান সহ তাকে বর্তমান স্বামী আশিক মিয়া ও তার পরিবার হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। নাছিমার ভাই দুইএকবার সন্তান সহ থাকে চিকিৎসা করালেও আরেকবার তার ভাই লোকমান হোসেনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় আশিক মিয়া ও তার পরিবার। এমতাবস্থায় সন্তানের ও নিজের প্রাণ নাশের হুমকি থাকায় আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন নাছিমা বেগম। বর্তমানে তাদের ভরণপোষণ দিচ্ছেন না আশিক ও তার পরিবার। আর স্বামী গত দুইমাস আগে চলে যান বিদেশে।
এতো অত্যাচার নির্যাতনের পরও স্বামীর বাড়িতেই কেন থাকছেন সার্চ মানবাধিকার দিরাই প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে নাছিমা বলেন আমার প্রথম স্বামীর ঔরসজাত ১২ ও ৮ বছরের ছেলে মেয়ে রয়েছে উপরোন্ত এখন পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে বিয়ে করা ২য় স্বামী আশিক মিয়ার ঔরসজাত আরেক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে, আমি যদি চলে যাই আমার ৩ সন্তানের ভবিষ্যৎ কি হবে-? ওরা চাচ্ছে আমি যেন তাদের অবহেলা, অত্যাচার ও নির্যাতনে বাপের বাড়ি চলে যাই যাতে আমার সন্তানদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে পারে, এইজন্য সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে শতকষ্ট বুকে চাপা দিয়ে ওদের অন্যায় অত্যাচার সহ্য করছি।
এ বিষয়ে নাছিমার স্বামী বিদেশ থাকায় ও দেবরদের কেউ ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।