প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২২ , ১২:৩১:২৩ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতকে কলেজ ছাত্র আল আমিন হত্যা মামলায় তিন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ওয়াহিদুজজামান শিকদার এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের ছনুয়া গ্রামের রফিকব আলীর ছেলে আক্কাছ মিয়া (পলাতক), মৌজরাই গ্রামের আরজক আলীর পুত্র আজিজুল ইসলাম (পলাতক) ও জাউয়াবাজার ইউনিয়নের লক্ষণসোম গ্রামের আব্দুল হাসিমের পুত্র সাইদুল হক।
দন্ডপ্রাপ্তদের আক্কাছ মিয়া ও আজিজুল হক পলাতক রয়েছেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, ছাতক উপজেলার বড়কাপন গ্রামের আনফর আলীর পুত্র আল আমিন দেবেরগাঁও গ্রামে শফিক উদ্দিনের বাড়িতে লজিং থেকে জাউয়াবাজার ডিগ্রী কলেজের মানবিক বিভাগে পড়ালেখা করতেন। তার ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা ছিলো। ২০১৬ সালে ১৭ অক্টোবর সকালে ওই কলেজ ক্যা¤পাসে আসামীদের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা। দুপুরে কথাকাটাকাটির দ্বন্ধ শেষ হওয়ার পর আল আমিন কলেজ ক্যা¤পাস থেকে নিজ গ্রামের বাড়ি বড়কাপনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরে আসামী আক্কাছ মিয়া, আজিজুল ইসলাম ও সাইদুল হক প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আল আমিনের পিছুনিয়ে বড়কাপন পয়েন্টে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিন ও তার দুই বন্ধু দিলাল আহমদ,জুনেল আহমদ ও নাজমুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য কৈতক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার সহপাঠিরা সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন তিনবন্ধুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এঘটনায় নিহত আল আমিনের বাবা আনফর আলী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উলেখ করে ঘটনার দিনই ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ নূর মিয়া ৩০ জুন ২০১৭ তারিখে আসামীদের বিরোদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন আদালত ৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে অভিযোগপত্র আমলে নেন। মামলায় ২৩ জন স্বাক্ষী প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের আইনজীবী প্রসেনজিৎ দে জানান, আসামী পক্ষ আদালতের রায়ে বিরোদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ড. খায়রুল কবির রুমেন এটি একটি চা ল্যকর মামলা। বাদী পক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করেছেন। আসামী সাইদুল হক রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।