• সুনামগঞ্জ

    কুয়াশার চাদরে ঢাকা জগন্নাথপুর, শীত নিবারনে আগুন

      প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:৪৫:০৩ অনলাইন সংস্করণ

    হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ টানা কয়েক দিন ধরে শীত আর হিমল হাওয়ার কারণে জগন্নাথপুর এর জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আগুন পোহায়ে কিছুটা হলেও শীত নিবারন এর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন জনসাধারণ। বিগত দুই /তিন ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা। যদিও মাঝে মধ্যে ঘণ কুয়াশার আড়ালে মিলছে সূর্যের দেখা। ঘন কুয়াশার কারণে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। শীত ও কনকনে হিমেল ঠান্ডা হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমুল ও শ্রমজিবী মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে। আজ ২৭ শে জানুয়ারী বিকাল সাড়ে চারটার দিকে এমন দৃশ্য দেখা গেছে জগন্নাথপুর এর পল্লীতে। উপজেলা সদর সহ গ্রামীণ বাজার এর গুলোতে গরম কাপড়ের দোকানে প্রতিদিন বাড়ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের। এমনকি হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাটবাজার এর ফার্মেসীতে বাড়ছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত ছিন্নমূল মানুষের। আগুন পোহাতে থাকা ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক কনেল ও ফকির আলী একান্ত আলাপকালে বলেন, সারাদিন ধরেই কুয়াশায় ছেয়ে আছে এলাকা। মাঝে মধ্যে সূর্যের দেখা দিলেও তাপ মাত্রা ছিল নিম্ন। শীত ছাড়ছেনা। আমরাতো মুটামুটি আরামে আছি। ক্ষেত খামারের শ্রমিকরা সহ ছিন্নমূল মানুষ এই শীতে দিশেহারা। ছিন্নমূল মানুষের জন্য সরকারি শীতবস্ত্র বিতরণ একান্ত প্রয়োজন। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুত্র ধর বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালে চাপ একটু কম আছে। আমাদের এখানে যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের শীতজনিত রোগে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই থেকে তিন দিন চিকিৎসা নিয়েই অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী উপহার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শীতার্ত মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। আরও কম্বল ও নগদ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content