প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২২ , ৯:১১:৫৬ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: একবার নয় দুবার নয় দেশব্যাপী প্রচারণার অংশ হিসেবে একাধারে পঞ্চাশতম মঞ্চস্থ হলো একটি নাটক। ১৫ আগস্টের শোকাবহ বিয়োগান্তক ঘটনাটি নিয়ে ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ নামের নাটকের পঞ্চাশতম মঞ্চায়ন করলো সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনাকে উপজীব্য করে ম স্থ হয়েছে ‘অভিশপ্ত আগস্ট’। জাতির পিতাকে হত্যার সমস্ত চক্রান্ত সহজ, সরল,সাবলীলভাবে জাতির সামনে তুলে ধরা হয় নাটকে। প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিট ব্যাপ্তির নাটকটি ৫০ তম বারের মতো ম ায়ন হয়। ৯ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের আয়োজনে নাটকে অভিনয় করেন বাংলাদেশ পুলিশ নাট্যদল। নাটকের পরিকল্পনা, গবেষণা ও তথ্য সংকলন করেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, মোঃ হাবিবুর রহমান পিপিএম এবং রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহিদুর রহমান।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে দেশীয় স্বার্থান্বেষী কুচক্রীদের দ্বারা সংঘঠিত ১৫ আগস্টের সেই ঘৃনিত হত্যাকান্ডকে মে অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেন শিল্পীরা।
বিশেষ করে ইতিহাসের খলনায়ক খন্দকার মোশতাকের সাথে ঘাতকচক্রের সদস্য মেজর ফারুক, মেজর রশীদসহ পর্দার আড়ালে থাকা মাস্টার প্ল্যানারদের ষড়যন্ত্রের বীজ বুনন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ক্ষমতা দখলের নীলনকশা তৈরী এবং সেই ষড়যন্ত্রে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির গোপন পৃষ্ঠপোষকতা উঠে আসে নাটকটিতে।
সেই সাথে উঠে এসেছে আর দশটা সাধারন দিনের মতই হত্যাকান্ডের পূর্ব পর্যন্ত ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের কর্মব্যস্ততার চিত্র যেটা দেখে বুঝারই উপায় ছিল না কিছুক্ষণ পরেই বাঙালির জাতির প্রেরণার উৎস এই বাড়ি হয়ে উঠবে বিভৎস এক মৃত্যুপুরী।
নাটকটিতে ৩২টি চরিত্র রয়েছে। নাটকে খন্দকার মোশতাক এর চরিত্রে নারায়নগঞ্জ জেলার পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুর রহমান অভিনয় করেন। ভৃত্য/ক্যাপ্টেন হুদা চরিত্রে ওমর ফারুক রনি, স্বপ্নের সৈনিক ১/ মেজর আজিজ পাশার চরিত্রে হাসিবুর রহমান (শান্ত), স্বপ্নের সৈনিক ২/সুবেদার মেজরের চরিত্রে রেদওয়ান আহম্মেদ, স্বপ্নের সৈনিক ৩/ মেজর রশীদের চরিত্রে সিফাত, সৈনিক ৪ এর চরিত্রে বিপ্লব চন্দ্রপাল, স্বপ্নের নারী ১ এর চরিত্রে নুসরাত শারমীন, স্বপ্নের নারী ২ চরিত্রে নাট্যকর্মী নাদিয়া আফরিন নিলা, সিদ্দিকুর চরিত্রে মোস্তাফিজুর রহমান, সাজেদা চৌধুরী চরিত্রে দীপা রানী, আইভি রহমানের চরিত্রে সাদিয়া, মুহিত/ বি. গ্রেঃ খালেদ মোশাররফ চরিত্রে বিনয় কুমার, পরীবানু চরিত্রে তামান্না তমা, তাহের উদ্দিন ঠাকুর/ সৈনিক ৮ চরিত্রে রাকিবুল হাসান, মাহবুবুল আলম চাষী চরিত্রে মীর ফয়সাল, শেখ কামাল চরিত্রে শোয়াইবুর রহমান, মেজর ফারুক চরিত্রে সোহাগ হোসাইন, রমা চরিত্রে আবুল হোসেন, আবুল চরিত্রে আলী আকবর, মতিন/সিদ্দিকুর চরিত্রে মিজান, মেজর মহিউদ্দিন চরিত্রে মেহেদী হাসান (প্রিন্স), মেজর নূর চরিত্রে মাহাবুবুল আলম সবুজ, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন চরিত্রে বিশ্বনাথ,মেজর ডালিম/মতিন চরিত্রে রুহুল আমিন (হিরু),সৈনিক ৫ চরিত্রে মাসুদুর রহমান, সৈনিক-৬ চরিত্রে ইষা জাফরান সান, সৈনিক ৭ চরিত্রে নুরু মিয়া, মিউজিক করেছেন সৌরভ দাস অভিনয় করেন। নাটকে তামান্না তম কসটিউমস ডিজাইন, শোয়াইবুর রহমান সেট ডিজাইন, সোহাগ মিউজিক ডিরেক্টর, সৌরভ দাস মিউজিক প্রক্ষেপণ, নূরু মিয়া বাঁশি, প্রিন্স স্টেজ ম্যানেজার, শোয়াইব ও নূরু মিয়া ম সজ্জা, অ¤øান বিশ্বাস আলোক সজ্জা এবং সোহাগ রূপসজ্জা করেন। নাটকটি অধীর আগ্রহে উপভোগ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, চীফ জুডিসিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুর রহিম,পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান (বিপিএম),সিভিল সার্জন ডাঃ শামস উদ্দিন,জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামছুল আবেদীন,রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু,দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর পত্রিকার সম্পাদক পংকজ কান্তি দে ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক বাউল আল-হেলালসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।