প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২১ , ১১:৫১:২২ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: হেযবুত তওহীদের ৫ নারী লাঞ্চিত ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হেযবুত তওহীদের জেলা নারী সম্পাদিকা মাফিকুল বেগম সোহানা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মানবতার কল্যাণে নিবেদিত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার ধর্মীয় সংস্কারমূলক অরাজনৈতিক সংগঠন হেযবুত তওহীদের গত ২৫ বছরের উর্ধ্বকাল যাবৎ সারাদেশ ব্যাপী পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, বিভিন্ন বই পুস্তকের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার অনুমান ২.৩০ মিনিটের সময় সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের মীরেরচর গ্রামে কুলসুমা বেগম (৩৯), লুৎফুল নাহার (৪০), তাসলিমা বেগম (৪২), সোহানা বেগম (২৪) ও মাফিকুল বেগম সোহানা (৩৮) প্রচার কার্য চালাতে যান। এ সময় মীরেরচর গ্রামের সাজেদ আলীর পুত্র সায়েম আহমদ (২৬), নাজমুল হুদা (৩৩), রবিউল ইসলামের পুত্র তাজুল ইসলাম (২৮) আব্দুল হাই (৫০) সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন মিলে হেযবুত তওহীদের বই বিলী ও বিক্রয়ের সময় মীরেরচর মসজিদের পূর্বপাশে অভিযুক্ত সায়েম আহমেদের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদেরকে টানা হেছড়া করে শ্লীলতাহানী করে। এক পর্যায়ে উক্ত ব্যাক্তিগণ অভিযোগকারী মাফিকুল বেগম সোহানাসহ দুই জনের কাছ থেকে জোরপূর্বক মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। সেই সাথে তাদের আটকে রাখার পরিকল্পনা করে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার চেয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হেযবুত তওহীদ সংগঠনের সুনামগঞ্জ জেলা আমির মোঃ জাকির হোসেন জানান, মানবতার কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে আমরা আরো অনেকবার উগ্র ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীদের দ্বারা এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। বুধবার মীরেরচর গ্রামে আমাদের ৪ জন নারী কর্মী লাঞ্চিত ও তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবী করছি। এবিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুর রহমান বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত ক্রমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।