প্রতিনিধি ৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ১১:৩৩:৩৫ অনলাইন সংস্করণ
৯ এবং ১০ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক আহ্বান করা গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। বাইডেন প্রশাসন ১০০ টিরও বেশি দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মাত্র চারটি দেশের মধ্যে পাকিস্তান ছিল যাদের এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অন্যদের মধ্যে রয়েছে ভারত, মালদ্বীপ এবং নেপাল।
চীন এবং রাশিয়াকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইসলামাবাদের এই পদক্ষেপকে হোয়াইট হাউসের কাছে একটি সুস্পষ্ট বাধা হিসাবে দেখা হচ্ছে যা দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। অভ্যন্তরীণ আলোচনার পর এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর এমন সিদ্ধান্ত জানায়। বিষয়টি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে ঠিক কী কারণে ইসলামাবাদ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শীর্ষ সম্মেলনে চীনকে বাদ দেয়া একটি বড় কারণ হতে পারে। বর্তমানে পাকিস্তান-চীনের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়টি সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও তা প্রত্যাখ্যানে ইসলামাবাদকে শক্তি যুগিয়েছে। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উপেক্ষা করার যে ধারাবাহিকতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে চলে আসছিল, তার জবাবেও ইসলামাবাদ এ পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য মার্কিন আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান বলেছে, তারা ভবিষ্যতে একটি উপযুক্ত সময়ে এ বিষয়ে জড়িত হতে পারে। তবে এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার দুদিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তার প্রথম ভাষণে গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজনের অঙ্গীকার করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী রাশিয়া ও চীনসহ গোটা বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিস্তার ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তালিকায় দেখা যায়, সম্মেলনে চীন দাওয়াত না পেলেও সম্মেলনে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তালিকায় রাখা হয়নি তুরস্ক ও রাশিয়াকে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুধু ইসরাইল ও ইরাক আমন্ত্রণ পেয়েছে সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য। মিসর, সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মিত্রদের দাওয়াত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সাথে মোটামুটি ভালো সম্পর্ক থাকলেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সূত্র: ট্রিবিউন