প্রতিনিধি ৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:৩৬:৪৩ অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের শাল্লার সাব-রেজিস্টার অফিসের অফিস সহায়ক বহুল আলোচিত মোহন মিয়া ফেঁসে যাচ্ছেন এবার! তার বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরী গ্রহন ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ বছরে দিনমজুর থেকে কোটিপতি বনে যাওয়ার অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে একই গ্রামের সোহেল আহমেদ লিখিত আবেদন পর থেকে অভিযুক্ত মোহন মিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে নিজ দপ্তর থেকে তদন্তের নির্দেশ এলে স্থানীয় প্রভাব ও কালো টাকা ছড়িয়ে অফিসার ও সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করে এবং তদন্তের দিন উপস্থিতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করেও দায়মুক্তি মেলেনি তার বরং আরো অভিযোগ গাঢ় হয়েছে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও নির্দেশনা এসেছে স্মারক নং-০৫-৪৬-৯০০০-০১৬-৬৮-০০১-১৯-১৩৩৫/১(৯) জেলা রেজিষ্টার, সাব রেজিস্টার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমি, জেলা শিক্ষা অফিসসার সককারী কমিশনার গোপনীয় শাখা জেলা প্রশাসকের কার্যায় ও শাল্লা হাসিমিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার সহ সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে মোহন মিয়ার জাল সনদে চাকুরী ও সামান্য কর্মচারী থেকে ৪ বছরে অবৈধভাবে কোটি টাকার উপরে ভূসম্পত্তি অর্জন ও স্ত্রী সহ নিজ নামে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যাংক ব্যাল্যান্স এবং শাল্লা সাব রেজিস্টার অফিসের সেবা প্রার্থী সাধারণ জনগণের সাথে দুর্ব্যবহার, ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে সঠিক তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য।
এছাড়াও মোহন মিয়ার বিরুদ্ধে দুদক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রণালয়েও অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিবাদী যুবক সোহেল মিয়া।
অপর দিকে লাটিয়াল বাহিনী ও অবৈধ প্রভাব দেখিয়েও অভিযোগকারীকে আটকাতে না পেরে অটেল টাকা ছড়িয়ে তদন্ত প্রভাবিত করাসহ সাংবাদিক ও অফিসার কিনে নেওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলে বেড়ানো অভিযুক্ত মোহন মিয়া চুপসে গেছেন এখন! একের পর এক চাপে দিশেহারা মোহন মিয়া নিজ অফিসের বড় কর্তাদের আর অবৈধ কাজে প্রকাশ্যে সাথে পাচ্ছেন না। শাল্লা সাব রেজিস্টার ও জেলা রেজিস্টার এর বিরুদ্ধে মোহন মিয়াকে সহযোগিতা ও বাচানোর অভিযোগ বিভভিন্ন মিডিয়ায় আসার পর ও অভিযোগকারী সোহেল মিয়া তদন্তে জালিয়াতি ও তাদের ভূমিকা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে টনক নড়ে জেলা রেজিস্টার ও সাব রেজিস্টারের।
এখন নিঃসঙ্গ মোহন মিয়া কালো টাকা ছড়িয়ে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন অবৈধ সম্পদ ও জাল সনদে নেওয়া চাকুরী ঠিকিয়ে রাখতে তবে– শেষ রক্ষা হবে কি এই প্রশ্ন জোরের সাথে ঘুরছে সাধারণ মানুষের মনে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যেভাবে একের পর এক লিখিত অভিযোগ জমা হচ্ছে আর তদন্তের নির্দেশ আসছে এবং অভোযোগের জোরালো প্রমাণ থাকায় ফেঁসে যাবেন মোহন মিয়া এ থেকে বাচার কোন পথ খোলা নেই।
এব্যাপারে সোহেল মিয়া দৈনিক ভাটি বাংলা ডটকম’কে বলেন- আমি শাল্লার সাধারণ মানুষের পক্ষে লড়ে যাচ্ছি ও সত্যের জন্য লড়াই করছি ইনশা আল্লাহ্ আমার প্রত্যেক অভযোগ সঠিক প্রমাণিত হবে এবং বিজয়ী হব।
এব্যাপারে মোহন মিয়ার সেলফোন নাম্বারে একাধিকবার কল দিলে মোবাইল বন্ধ দেখায়-।
প্রসঙ্গতঃ শাল্লা উপজেলার ঘুঙ্গিয়ারগাঁও সদরে অবস্থিত উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারী শাল্লা ইউনিয়নের কান্দিগাঁওয়ের বাসিন্দা ভূমিহীন দিনমজুর হানিফ মিয়ার পুত্র অফিস সহায়ক মোহন মিয়ার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন (মাত্র ৪ বছরের চাকুরী জীবনে কোটি টাকার উপরে জায়গায় জমি ও প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স) সহ অবৈধভাবে জাল সনদ সৃজন করে ৮ম শ্রেণি পাশের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরী গ্রহণ, বেপরোয়া কথাবার্তা ও রূঢ় আচরণ এবং ঘুষ বানিজ্য সহ কাজ করতে আসা সেবা প্রার্থীদের হয়রানির অভিযোগে এনে বিগত ০৭ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ তারিখে শাল্লা ইউনিয়নের কান্দিগাঁওয়ের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল মালেকের পুত্র মোঃ সোহেল আহমেদ জেলা সাব-রেজিস্ট্রার সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফরে অভিযোগ দায়ের করেন।