• নির্বাচন

    দূর্গাপাশা ইউনিয়নে নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্রোহীরা! চলছে নানান রকম ষড়যন্ত্র!

      প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:৩৬:৫৯ অনলাইন সংস্করণ

    বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চলমান স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দূর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার চরম বিপর্যয় ঘটার পথে। বলা যায় বিদ্রোহীদের জনপ্রিয়তায় নৌকা বিতাড়িত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। দূর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রতিদন্ধিতায় রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান এস.এম.সিরাজুল ইসলাম (বাশার) ও সাবেক চেয়ারম্যান সালাম খান। আগত নির্বাচনে দূর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার ভরাডুবি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যানের সাথে ভোট যুদ্ধের লড়াইয়ে। সবচেয়ে বড় বিস্ময়, যারা বিদ্রোহী হয়ে মাঠে রয়েছেন তারা কেউ বিএনপি জামাতের নন, এরা আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থী!! বিদ্রোহী দমনে আওয়ামী লীগের কোন কৌশলই কাজে আসছে না। দলীয় সাধারণ সম্পাদক বার বার বলছেন, এবারের বিদ্রোহীরা চিরদিনের জন্য বহিষ্কৃত হবেন। যদিও দলের নেতা কর্মীরা এটিকে কৌশলের ঘোষণা বলেই বিশ্বাস করেন। সময়ে বহিষ্কার,অসময়ে প্রত্যাহার এসব দেখে বহিষ্কারের ঘোষণা এখন যেন আর কাউকেই বিচলিত করে না। বিদ্রোহীদের বিজয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দলীয় ঘোষণা কে বাস্তবায়ন করতে হলে, লোম পরিষ্কার করতে গিয়ে কম্বলই না আবার খালি হয়ে যাওয়ার মত। সারাদেশে সবাই যখন আওয়ামী লীগ, এমন পরিস্থিতিতে নৌকা প্রার্থীদের করুণ চিত্র কিসের ইংগিত বহন করে? ঐতিহ্যগত ভাবে একসময় আওয়ামী রাজনীতিতে সুবিধাবাদীদের প্রাধান্য ছিল না। বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো ক্ষমতা কে ব্যবহার করে সেনা ছাউনিতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। তাই দলটিতে দীর্ঘদিনের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা কর্মীর প্রাধান্য ছিল। কালের নিষ্ঠুর নিয়তিতে দলটি যেন ক্রমেই তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। দীর্ঘ দেড় যুগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও দলটির নিবেদিতপ্রাণ নেতা কর্মীরা যেন নিজ গৃহেই নির্বাসনে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী হয়েও অনেক স্থানেই ত্যাগীরা যেনো পরগাছা! স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রচলন দীর্ঘদিনের ত্যাগীদের মনে আশার সঞ্চার করলেও, এটিই এখন তাদের গলার ফাঁস। এখন দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের কাছে বিকল্প কোন পথ না থাকায়, এককালের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা আজ স্বেচ্ছায় দল ঘোষিত ফাঁসির মঞ্চে যেতেও সংশয় করছে না। এটি কিসের লক্ষণ?এর অন্তর্নিহিত কারণটা ই বা কি? তাহলে বিদ্রোহীরা কি আওয়ামী লীগের কেউ না, অস্বীকার করার নয় দলের চরম দুর্দিনে এই বিদ্রোহীরাই রাজপথ কাঁপিয়ে রেখেছেন আজকের তাদের কন্ঠ যেন চেপে ধরে বন্ধ করার কৌশল মাত্র। বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সকল কর্মকাণ্ডে সিরাজুল ইসলাম বাশার এর উপস্থিতি কোনোভাবেই অস্বীকার করার নয়। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে পৌরনির্বাচন ইউপি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ভালবেসে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বর্তমান এই চেয়ারম্যান। সাংগঠনিক কর্মদক্ষতায় মন জয় করেছেন উপজেলার শীর্ষ নেতাদের। অজানা কারণে নৌকার নমিনেশন থেকে ছিটকে পড়লেও সাধারণ ভোটারদের অন্তরে যায়গা করে নিয়েছেন এই ত্যাগী নেতা। ৫ নং দূর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের মনোনীত হয় আনারস মার্কা নিয়ে ভোটযুদ্ধে সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তার বিজয় সুনিশ্চিত ভেবেই একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। নীলনকশার অংশ হিসেবে আজ ১৫ ডিসেম্বর সেনের হাট বাজারে দুপুর একটায় বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাশার বাজারে উপস্থিত হলে ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী সঞ্জয় দাস চেয়ারম্যান কে প্রশ্ন করেন তিনি এই বাজারের কেন আসছেন বাকবিতন্ডায় জড়ায় ও তার উপরে হামলার পরিকল্পনা করলেও বাজারে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে সঞ্জয় দাস গা-ঢাকা দেয়। যাহার ভিডিও চিত্র সাংবাদিকদের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে। ঘটনাস্থলে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাশার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন বিভিন্ন হাট-বাজারে তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে ও তার সমর্থকদের প্রচার প্রচারণায় বাধা গ্রস্থ করা সহ মারধর করা হচ্ছে। তিনি এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনার পাশাপাশি অবাধ ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। দূর্গাপাশা ইউনিয়ন এর সর্বস্তরের জনসাধারণের একটাই দাবি আগত ইউপি নির্বাচনে এসএম সিরাজুল ইসলাম বাসার শিকদারকে পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবেন তারা।

    আরও খবর

    Sponsered content