প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:০৭:২২ অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলায় আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিবারই স্ব-স্ব পত্রিকার ও প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র পেশ করে সংশ্লিষ্ট জেলা অথবা উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পাস কার্ড নিয়ে থাকেন। আজ দিরাই উপজেলা নির্বাচনী অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফয়জুর রহমান জন্ম দিয়েছেন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের! ছাতক নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসার তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দিরাই আগামীকাল এর নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে এসেছে তার মূল দায়িত্ব করিমপুর ইউনিয়ন, রাজানগর ইউনিয়ন ও চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদ এর রিটার্নিং অফিসার হিসেবে। কিন্তু উনি নির্বাচনী কর্মকর্তার অফিসে বসে আজ চরম অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন। উনি দিরাইয়ে অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সাংবাদিকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পাস কার্ড দিলেও সুনামগঞ্জের স্থানীয় প্রিন্ট পত্রিকা মানব চাহিদা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধিকে উনি কার্ড দেননি।
অথচ উনি কাগজ বিহীন মোটরসাইকেল ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া-ও মোটরসাইকেল পাস (স্টিকার) প্রদান করার অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়া অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রতিনিধি পাস কার্ড পেয়েছেন। কাগজ বিহীন মোটরসাইকেল অন্য আরেক সাংবাদিকের।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল এ প্রতিনিধিকে জানান- অনেক পোর্টালের সাংবাদিক সেল রিসিট এর গাড়িতে এইচএফ ডিলাক্স হিরো ভূয়া প্লেট নাম্বার এ পাস কার্ড এর অনুমোদন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভারকেও অনুমোদন দিয়েছে রিটার্নিং অফিসার দিরাই!
অথচ সুনামগঞ্জের সরকারি ডিক্লেয়ারেশন প্রাপ্ত ১৮টি প্রিন্ট পত্রিকার সরকারি তালিকায় ১নম্বরে থাকা মানব চাহিদা প্রিন্ট পত্রিকার দিরাইর কোনো প্রতিনিধিকে পাস কার্ড দেওয়া হয়নি। দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাচনী কর্মকর্তার সাথে অনেক বিতর্ক করার পরেও কার্ডও দেননি এবং যাদেরকে পাস কার্ড দেওয়া হয়েছে তাদের তালিকাও উনি দেননি বরং দম্ভ করে উনি বলেন নিউজ করার জন্য! একজন নির্বাচনী কর্মকর্তার এহেন আচরণে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ হতভম্ব হয়ে যান।
আমরা পত্রিকার অফিসে ফোন করে সম্পাদক মহোদয়ের সাথে আলাপ করার জন্য বললেও উনি আলাপ করেননি! এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে আলাপ করে বিষয়টি অবহীত করলে তিনি নির্বাচনী কর্মকর্তাকে উনার কথা বলতে বলেন এই বিষয়টি অবহীত করার পরও উনি কথা শুনেননি! এছাড়াও পত্রিকা অফিস থেকে কল দিলে উনি রিসিভ করেননি।
অবাক করা বিষয় হলো একপর্যায়ে আমার জন্য কার্ড রেডি করে স্বাক্ষর করার পরেও উনি হস্তান্তর করেননি, এতে সন্দেহ জাগে স্থানীয় কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উনি এই অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন, উনি সরকার অনুমোদিত একটি পত্রিকার প্রতিনিধিকে কেন কার্ড দেননি এই বিষয়টি আমরা জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কে অবহীত করবো।